অসমের তেল কূপে ভয়ঙ্কর আগুন যা ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলছে পরিবেশে দেখুন সেই ভিডিও

অসমের তেল কূপে আগুন
১৪ দিন আগে গ্য়াস লিক করে 
মেরামতির কাজে যোগ দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা
ইতিমধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে
 

১৪ দিন ধরেই গ্যাস বার হচ্ছিল। আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে এসেছিলেন বিশেষজ্ঞরাও। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঠেকানো গেল না দুর্যোগ। মঙ্গলবার দুপুরে আগুন লাগাল অসমের তুনসুকিয়া জেলার বাঘযানে অবস্থিতি ওয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের গ্যাস কূপে। যেখানে প্রাকৃতিক উপায় গ্যাস উৎপাদন করা হয়। 


দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগার আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগুনের লেলিহান শিখা আর দেখা যাচ্ছে বহু দূর থেকে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্ঘটনাস্থাল থেকে খুব একটা দূরে নয় ডুব্রু সাইখোয়া জাতীয় উদ্যান আর ইকো সংবেদশীল মাহুপি মোটাপুং জলাভূমি। তাই আগুন তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার স্থানীয়রা বেশ কয়েকটি মৃত ডলফিনের ছবি পোস্ট করেছেন। তাঁদের অভিযোগ এই অগ্নিকাণ্ডের ফলেই নষ্ট হতে বসেছে প্রাকৃতিকভারসাম্য। কূপ সংলগ্ন ধান জমি, ফসলের ক্ষেত ও জলাভূমিতবে দুষিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তেল কুঁয়ো থেকে গ্যাস লিক করার সঙ্গে সঙ্গে গত ২৭ মে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই সময় প্রায় ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

গত ২৭ মে বাঘজান গ্য়াস কূপে একটি বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় মাটির প্রায় ৩.৭২৯ মিটার গভীরে তেল ও গ্যাস বহনকারী জলাশয় থেকে গ্যাস উত্তোলনের কাজ চলছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই তেল কূপে বিস্ফোরণ হয় বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল। তারপর থেকে ওই কূপ দিয়ে ক্রমাগত গ্যাস লিক করে যাচ্ছিল। যা মেরামতির জন্য সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞদেরও তলব করা হয়েছিল। সোমবার থেকেই তাঁরা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্য নিয়ে কাজ করছিলেন। কিন্তু এদিন দুর্ঘটনার সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। সেই সময় তাঁরা ধূলিয়াজানে সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। 

এদিন দুর্ঘটনার পরই অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। মোয়াতেন রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীষ পরিস্থিতিতির দিকে কেন্দ্র ও রাজ্যে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা নজর রাখছে বলেও জানান হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর তেলকূপ সংলগ্ন দেড় কিলোমিটার ব্যাসার্ধযুক্ত এলাকা থেকে প্রায় ৬০ হাজার মানষকে তড়িঘড়ি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওয়েল ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News
'কেন্দ্র যদি একটু দয়া দেখায় তাহলে হুগলিতেও মেট্রো চলবে', আশাবাদী Rachana Banerjee
নওশাদ সিদ্দিকীকে জঙ্গি আখ্যা Saokat Molla-র, পাল্টা বড় পদক্ষেপ Naushad Siddiqui-র
Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh