দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্বয়ং রাজধানী দিল্লি। আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবারই ৫০ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। গলা জ্বালা, জ্বরের মত করোনার লক্ষণ নিয়ে খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেই আইসোলেশনে যেতে হয়েছে। মঙ্গলবার কেজরির করোনা পরীক্ষাও করা হয়। এর মধ্যেই রাজধানী বাসীর জন্য আরও আশঙ্কার খবর শোনালেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। গত কয়েকদিনে যেভাবে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে তাতে চলতি মাসেই দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর জুলাই মাসের শেষে প্রায় সাড়ে পাঁচলক্ষ দিল্লিবাসী আক্রান্ত হবেন কোভিড ১৯ রোগে।
দিল্লিতে লাগাতার বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মঙ্গলবারই সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজাল। সেখানে সিসোদিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরাও। জুলাইয়ের শেষে জাতীয় রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষ ছাড়ালাও দিল্লিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সিসোদিয়া।
সিসোদিয়া মঙ্গলবার বলেন, দিল্লিতে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। তবে ৩১ জুলাই নাগাদ রাজধানী-সহ গোটা রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে সাড়ে পাঁচ লাখে। জুলাইয়ের শেষ দিকেই দিল্লির হাসপাতালগুলিতে ৮০,০০০ বেডের প্রয়োজন হবে।
রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি যখন ক্রমেই উদ্বেগের হয়ে উঠছে তখন কেজরি সরকারের সঙ্গে লেফটানেন্ট গভর্নরের দ্বন্দ্বও ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গত সোমবারই লেফটানেন্ট গভর্নর দিল্লি সরকারের করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল ও প্রাইভেট নার্সিংহোমের বেড রিজার্ভ রাখার সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন ৷ জুনের শেষ দিল্লিতে ১৫,০০০ করোনা বেডের প্রয়োজন হবে তাই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে অন্যান্য রাজ্যের মানুষদের চিকিৎসা হবে না বলে আগে ঘোষণা করেছিলেন কেজরি। যদিও তা ধোপে টেকেনি। উল্টে বৈজাল বলেন, দিল্লিতে সব রাজ্যের মানুষের চিকিৎসা হবে।
গত ৯ দিনে নেই কোনও মৃত্যুর খবর, এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি করোনা লড়াইয়ে পথ দেখাচ্ছে দেশকে
দেশে দৈনিক সংক্রমণে ফের রেকর্ড, এবার করোনার উৎসস্থল উহানকে একাই ছুঁয়ে ফেলতে চলল মুম্বই
অ্যাসিম্পটম্যাটিকদের থেকে করোনা ছড়ানোর নজির বিরল, সুর পাল্টে এবার দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এনিয়েই সোমবার মুখ খোলেন শিশোদিয়া। বিজেপির চাপে পড়েই উপরাজ্যপাল এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিনের বৈঠকের পর সিসোদিয়া জানান 'কেন্দ্রের আধিকারিকরা জানিয়েছেন দিল্লিতে কোনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নেই ৷ ’ দিল্লি সরকার চেয়েছে রাজ্য সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতাল কোনটিতেই দিল্লির বাইরের মানুষের করোনা চিকিৎসা যেন না হয় ৷ কারণ জুলাইয়ের শেষে দিল্লিবাসীর শুধুমাত্র কোভিডের চিকিৎসার জন্যেই ৮০ হাজার শয্যা লাগবে ৷
এদিকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন দিল্লিতে সংক্রমণের যে নতুন কেসগুলি আসছে সেগুলির ক্ষেত্রে কীভাবে সংক্রমণ হয়েছে তা জানা যাচ্ছে না৷ তাঁর কথায়, “আমরা তখনই গোষ্ঠী সংক্রমণ বলতে পারি যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত লোকজন বলতে পারেন না যে তাঁরা কীভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। এমন অনেকগুলি ঘটনাই রয়েছে। দিল্লির ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস জানা যায়নি”।