শনিবার ছাত্রনেতা উমর খালিদকে মুক্তি দিল দিল্লির করকরদুমা আদালত। তাঁর সঙ্গে ছাড়া পেয়েছেন আরও এক প্রাক্তন ছাত্রনেতা খালিদ সইফিও। তবে ছাড়া পাওয়া সত্বেও আপাতত তাদের থাকতে হবে বলে জেলেই।
জেএনইউ এর ছাত্রনেতা উমর খালিদ গত দু বছর ধরে ছিল পুলিশি হেফাজতে। দিল্লি দাঙ্গার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ২০২০ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এরপর প্রায় দুবছর তিনি ছিলেন কারাবাসে। একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও কোনো না কোনো কারণে তা নামঞ্জুর করে দিতো আদালত। অবশেষে শনিবার ছাত্রনেতা উমর খালিদকে মুক্তি দিল দিল্লির করকরদুমা আদালত। তাঁর সঙ্গে ছাড়া পেয়েছেন আরও এক প্রাক্তন ছাত্রনেতা খালিদ সইফিও। তবে ছাড়া পাওয়া সত্বেও আপাতত তাদের থাকতে হবে বলে জেলেই। কারণ তাদের বিরুদ্ধে উইপিএ ধারায় রুজু হাওয়া মামলার এখনও নিস্পত্তি হয়নি। শনিবার উমর এবং সইফিকে মুক্তির নির্দেশ দেন করকরদুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পুলস্ত্য প্রেমচলা।
দিল্লি দাঙ্গার মতো বড়সড় নাশকতার ছক কষার অভিযোগে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্ব দিল্লির চাঁদ বাগ পুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খালিদকে।এই মামলার তদন্তের শেষে ইতিমধ্যেই জমা করা হয়েছে চার্জশিট। বিচারক পুলস্ত্য প্রেমচলা তা পর্যবেক্ষণ করে দেখে বলেন যে ওই হামলায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারি না হাওয়া পর্যন্ত উমরদের জেলে রাখা যাবে না
বছর দুয়েক আগে দিল্লি দাঙ্গা মামলায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমরদের গ্রেফতারিতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা। অভিযোগ, সে সময় নরেন্দ্র মোদী সরকারের আনা এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানকারীদের নানা ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। সে কারণে দিল্লির দাঙ্গায় উমর-সহ একাধিক আন্দোলনকারীর নাম যোগ করা হয়েছিল সেসময়। অনেকেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেছিলো যে উমরদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। এনিয়ে বিতর্কও বাঁধে অনেক। অবশেষে সব তর্ক -বিতর্কের উর্ধে গিয়ে জেল থেকে ছাড়া পেলেন খালিদ।