নতুন বছরের আগে বড় জঙ্গি হামলার চক্রান্ত ব্যর্থ, এনকাউন্টারে খতম চার জঙ্গি

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) জব্দ করা হয়েছিল এবং একটি বড় সন্ত্রাসী চক্রান্ত নস্যাৎ করা হয়েছিল।

Web Desk - ANB | Published : Dec 28, 2022 12:08 PM IST

নতুন বছরের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে একটি বড় জঙ্গি হামলার ছক বানচাল করল নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার সকালে জম্মুর সিধরা এলাকায় একটি এনকাউন্টারে চার সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৭টি একে-৪৭ রাইফেল, ৩টি পিস্তল ও অন্যান্য গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এই জঙ্গিরা একটি ট্রাকে যাচ্ছিল। তথ্য অনুসারে, যে ট্রাকে জঙ্গিরা এসেছিল সেই এনকাউন্টারের সময় আগুন ধরে যায়।

এডিজিপি মুকেশ সিং জানিয়েছেন, জম্মুর সিধরা এলাকায় এনকাউন্টারে চার জঙ্গি নিহত হয়েছে। ট্রাকের মালিকের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি, ট্রাকটি জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল। তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এসময় ট্রাকে থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে থাকে। পাল্টা জবাবে সব জঙ্গি খতম হয়।

উদ্ধার করা হয়েছে আইইডি ও আরডিএক্স

জেনে রাখা ভালো সোমবার, জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) জব্দ করা হয়েছিল এবং একটি বড় সন্ত্রাসী চক্রান্ত নস্যাৎ করা হয়েছিল। বসন্তগড় এলাকায় প্রায় ১৫ কেজি ওজনের একটি আইইডি-জাতীয় পদার্থ জব্দ করা হয়েছিল, যা একটি নলাকার বস্তুতে রাখা হয়েছিল। তিনি জানান, পুলিশ ৩০০-৪০০ গ্রাম আরডিএক্স, ৭.৬২ মিলিমিটারের সাতটি কার্তুজ এবং পাঁচটি ডেটোনেটরও পেয়েছে।

উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জঙ্গি হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার বড় ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। একটি সতর্কতা জারি করে, গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে যে স্থানীয় নেতা, প্রাক্তন সেনা, নন-কাশ্মীরি, সরকারি গাড়ি জঙ্গিদের টার্গেটে রয়েছে। এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুই লস্কর সন্ত্রাসীকে, যারা পাকিস্তানিও হতে পারে।

এদিকে, বিএসএফের কাছে বিশেষ গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে যে সীমান্তের ওপারে ৩০০ জনেরও বেশি জঙ্গি উপস্থিত রয়েছে এবং তাদের লক্ষ্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় অনুপ্রবেশ করা এবং একটি বড় হামলা চালানো। চীন ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনার সুযোগ যেন পাকিস্তান না নেয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ।

বিএসএফ সীমান্তে তার নতুন কৌশলের অধীনে তিন স্তরের নিরাপত্তা কর্ডন প্রস্তুত করেছে। সীমান্তে সেনারা ক্রমাগত টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি বেড়ার উপর অবস্থিত নাকা পয়েন্ট থেকে সেনারা পাকিস্তানের উপর কড়া নজর রাখছে। সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকায় অ্যামবুস বসিয়েছে বিএসএফ।

Share this article
click me!