স্কুল ম্যানেজমেন্ট ও বাস চালকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দন্ডবিধির ধারায় ওই চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
শিউরে ওঠার মত ঘটনা। নিজের স্কুল বাসের চাকার তলায় পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল চার বছরের সিদ্ধার্থের। সোমবার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের শিকোহপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে বাড়ির কাছে নামার সময় নিজের স্কুল বাসের চাকার তলায় পড়ে যায় চার বছর বয়সী কিন্ডারগার্টেন ছাত্র সিদ্ধার্থ সিং। ওই শিশু খেরকি দৌলার একটি বেসরকারি প্রি-স্কুলের লোয়ার কেজির ছাত্র ছিল। পুলিশ জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে শিশুদের স্কুলবাস থেকে নামার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় শোকে পাথর সিদ্ধার্থের পরিবার, ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তাদের বাড়ির চঞ্চল ছটফটে সেই ছোট্ট ছেলে আজ নেই। বুক চাপড়ে হাহাকারের পরেও যেন সেই যন্ত্রণার শেষ নেই। কীভাবে ঘটল এই ঘটনা, সিদ্ধার্থের বাবা গুলশন সিং জানান, তাঁর ছেলে সবে মাত্র বাস থেকে নেমেছে। তখনই বাসচালক বাস চালিয়ে দেয়। ভারসাম্য রাখতে না পেরে গড়িয়ে চাকার তলায় চলে যায় ছোট্ট শরীরটা। বাসের পিছনের চাকা তার হাত, আর পেটের ওপর দিয়ে চলে যায়।
একটা আর্তচিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে দেখেন সিদ্ধার্থ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সিভিল লাইনসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সেখানে তার যথাযথ চিকিৎসা না হওয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়। বারবার বাড়ি ফিরতে চাইছিল ছোট্ট সিদ্ধার্থ। অ্যাম্বুলেন্স আসতেও দুঘন্টা সময় নেয়। শেষ রক্ষা হয়নি। বাবার চোখের সামনে শেষ নিঃশ্বাস ফেলে সিদ্ধার্থ।
মাস্ক মাস্ট, তবে বন্ধ হচ্ছে না স্কুল - দিল্লি জুড়ে জারি একাধিক কড়া করোনা বিধি
জল্পনা উস্কে দিয়ে আবারও সনিয়ার কাছে প্রশান্ত কিশোর, তিন দিনে দুবার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
রাশিয়ার নতুন টার্গেট রুশ অধ্যুষিত ডনবাস, প্রায় নিশ্চিহ্ন বন্দর শহর মারিউপোল
গুলশন সিং জানান, তার ছেলেকে ওইভাবে চাপা দেওয়ার পরেও বাসের বাকি ১৪ জন স্কুল পড়ুয়াকে এক এক করে বাড়ি পৌঁছে দেয় অভিযুক্ত চালক। তারপর পালিয়ে যায়। খেরকি দৌলা থানার স্টেশন হাউস অফিসার রাজেন্দ্র সিং বলেন, “ছেলেটি প্রতিদিন মিনিবাসে স্কুলে যাতায়াত করত। তদন্তে দেখা গেছে যে দুপুর দেড়টার দিকে, সে বাস থেকে নামার পরে, চালক গাড়িটি সরিয়ে নিতেই ছেলেটি বাসের নীচে চলে আসে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্কুল ম্যানেজমেন্ট ও বাস চালকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দন্ডবিধির ধারায় ওই চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।