'ভবিষ্যৎ অন্ধকার', সরকারি চাকরির দাবি মদ্যপ পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত খাবার ডেলিভারি সংস্থার কর্মীর স্ত্রীর

পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন সলিল। তাঁর ১০ বছরের এক ছেলে রয়েছে। গত বছরই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সলিলের বাবার। ফলে গোটা পরিবারের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। আর তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

এক বেসরকারি খাবার ডেলিভারি সংস্থার (Food Delivery Boy) কর্মী হিসেবে কাজ করতেই। মূলত তাঁর উপার্জনেই চলত সংসার। কিন্তু, এক রাতেই সব শেষ হয়ে যায়। মত্ত পুলিশের (Drunken Police) গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান ওই কর্মী সলিল ত্রিপাঠী (Salil Tripathi)। শনিবার মত্ত পুলিশ কনস্টেবলের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর বাইকে ধাক্কা দেয়। তার জেরেই প্রাণ হারান তিনি। অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। শনিবার রাতে দিল্লির (Delhi) রোহিণী এলাকায় ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। 

পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন সলিল। তাঁর ১০ বছরের এক ছেলে রয়েছে। গত বছরই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সলিলের বাবার। ফলে গোটা পরিবারের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। আর তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কীভাবে দিন চলবে তা ভেবেই পাচ্ছেন না তাঁরা। সলিলের স্ত্রী সুচেতা ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, "আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল।"

Latest Videos

আরও পড়ুন- মহাকাশ গবেষণার ধারনা বদলে দিতে পারে SSLV,আর কি বললেন ইসরোর নয়া চিফ

স্বামীর মৃত্যুর পর নিজের মনেক ভাব প্রকাশের জন্য টুইটারে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন সুচেতা। স্বামীর মৃত্যুর পর সেখানে নিজেদের করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন তিনি। লেখেন, "মত্ত অবস্থায় দিল্লির এক পুলিশকর্মী গাড়ি নিয়ে আমার স্বামী সলিল ত্রিপাঠীকে ধাক্কা মেরেছিল। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সলিল। এখন আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই। আমাদের ভবিষ্যৎ পুরো অন্ধকার।" আর সেই টুইট তিনি ট্যাগ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে। এই ঘটনায় সুচেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ। তাঁরাও এই ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সুচেতার জন্য সরকারি চাকরির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকে আবার সুচেতার দিকে আর্থিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।

 

 

শনিবার রাতের ঘটনা। বাইক নিয়ে একটি অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সলিল। ঠিক সেই সময় বুদ্ধবিহার এলাকায় এক পুলিশ কনস্টেবল মহেন্দ্র মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি রোহিনী উত্তর থানায় কর্তব্যরত ছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় থাকার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি নিয়ে তিনি ধাক্কা দেন সলিলের বাইকে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় সলিলের। এরপরই গ্রেফতার করা হয় মহেন্দ্রকে। 

আরও পড়ুন- ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন এস সোমানাথ, চিনে নিন রকেট বিজ্ঞানীকে

ডেলিভারি সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, মৃত কর্মীর পরিবারকে সম্ভাব্য সবরকম সহায়তা করা হবে সংস্থার তরফে। মৃতের তুতোভাই রাহুল ত্রিপাঠী বলেন, "সলিলের পরিবারের ভবিষ্যৎ এখন পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছে। ৬ মাস আগে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি সুচেতাকে চাকরি দেয় তাহলে অন্ধকারের মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাবে তারা। সলিলের ছেলের সামনে এখন গোটা জীবন পড়ে রয়েছে। তার পড়াশোনাও রয়েছে। সে সবই এখন কীভাবে হবে তা বোঝা যাচ্ছে না।"

Share this article
click me!

Latest Videos

গাড়ি আটকাতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের! গাড়ির নীচ থেকে বেরলো ৬ লক্ষ টাকার গাঁজা, চাঞ্চল্য Nadia-এ
Minakshi Mukherjee : স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল সরকারকে ধুয়ে দিলেন মীনাক্ষী, দেখুন কী বলছেন
‘Pakistan-এর BSF হলে Mamata Banerjee তাদের প্রসংসা করতেন’ মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন Sukanta M
'আমাদের ১ কোম্পানি ঢুকলেই ওরা পালানোর পথ পাবে না' | Suvendu Adhikari | #shorts | #bjp |
রামপুরহাটে নামার কথা ছিল, কেন ফরাক্কায় নেমে ছিল দীপ্তি! | Harishchandrapur News | Malda News