ওমিক্রন এবং ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন। আজ্ঞে হ্যাঁ, কোভিডের অস্থিরতার মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ভারত বায়োটেক।
ওমিক্রন এবং ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের (Omicron and Delta varients) উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন। আজ্ঞে হ্যাঁ, কোভিডের অস্থিরতার মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই ওমিক্রন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সারা ভারতে। যা এই মুহূর্তে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ বলেই দাবি করেছে বিশেষজ্ঞরা। তবে কোভিডের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকেও গুরুত্ব দিয়ে নিতে হবে। মোটেই এটা সাধারণ মরশুমের বদলের সর্দি-কাশি নয়। এমনটাই বলেন নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক ভিকে পলের মুখে। এমনই এক সময়, কোভিডের দুটি ভ্য়ারিয়েন্টের উপরেই কার্যকরী কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ (Covaxin booster), বলে দাবি জানিয়ে সারা দেশে স্বস্তি ফেরাল ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)।
দেশ জুড়ে ওমিক্রনের লাগামছাড়া সংক্রমণ হতেই একাধিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন দিয়ে কোভিডের এই নিউ ভ্যারিয়েন্টকে আটকানো খুব কঠিন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি জানিয়েছে, বুস্টার ডোজ নয়, ওমিক্রনকে আটকাতে পারে নতুন ভ্যাকসিন। কিন্তু ভারত বায়োটেক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোভিডের দুটি ভ্য়ারিয়েন্টের উপরেই কার্যকরী কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ। কোভিডের বুস্টার ডোজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ কাজ করছে। তাঁদের দাবি, যারা ইতিমধ্যেই কোভিডের বুস্টার ডোজ নিয়ে নিয়েছেন, তাঁরা নয়া স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার আঘের থেকে বেশি শক্তি পাবেন। গবেষণায় এই প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে ভারত বায়োটেক। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ১৫৫ জন। যেখানে পয়লা জানুয়ারি সংখ্যাটি ছিল ৪ হাজার ৫১২ জন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬০জন। এদিকে বুধবার সারা দেশে আক্রান্তের পরিসংখ্যান ১ লক্ষ ৯৪ হাজারের বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষের বেশি। এমন মুহূর্তে ভারত বায়োটেকের কথা ভরসা যোগাল তামাম ভারতবর্ষকে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও কোভ্য়াক্সিন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, কোভিডের আলফা, বিটা, ডেলটা, জেটা, কাপ্পা ভ্যারিয়েন্টের উপরে কার্যকরী কোভ্যাক্সিন। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন এবার ওমিক্রনও। ভারতীয় বিজ্ঞানে বড় সাফল্য বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। অপরদিকে, এই মুহূর্তে দেশ তথা রাজ্যে সব জায়াগাতে লাগামছাড়া সংক্রমণ। অনেকেই ওমিক্রণ আতঙ্কে শরীরে উপস্বর্গ দেখা দিলে অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে ফেলছেন। এর থেকে গরম জল পান করা ভালো। গার্গল করা ভাল। অতিরিক্ত ওষুধ থেকে বিরত থাকতে বললেন নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক ভিকে পল।