শুক্রবার দিল্লির মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র ওরফে গোগিকে শুক্রবার রোহিণী আদালতের ভিতরে গুলি করা হয়। হামলাকারীরা আইনজীবীদের পোশাক পরে এসেছিল।
আদালতের মধ্যে যেন ফিল্মের শুটিং। পরপর গুলিতে কোর্টের মধ্যেই লুটিয়ে পড়ল কুখ্যাত গ্যাংস্টার (Gangster Jitendra Gogi)। দিল্লির রোহিনী কোর্টের (Rohini court in Delhi) শুটআউটে (shootout at Court) হতবাক গোটা দেশ। শুক্রবার দিল্লির মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র ওরফে গোগিকে শুক্রবার রোহিণী আদালতের ভিতরে গুলি করা হয়। হামলাকারীরা আইনজীবীদের পোশাক পরে এসেছিল। কোর্টের মধ্যেই জিতেন্দ্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই অপরাধীর।
আরও পড়ুন- ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি পাকিস্তানের, অস্ত্র দিচ্ছে চিন, ফাঁস গোপন চুক্তি
ঘটনাটি ঘটেছে রোহিণী আদালতের ২০৬ নম্বর কোর্টরুমে যখন জিতেন্দ্রকে বিচারকের সামনে হাজির করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল গুলি চালিয়ে দুই হামলাকারীকে খতম করে। হামলাকারীরা তিল্লু তাজপুরিয়া চক্রের বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ। এই বন্দুকযুদ্ধে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিযুদ্ধে একজন মহিলা আইনজীবী আহত হন। ঘটনার সময় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, হামলাকারীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এই দুজন আইনজীবীর পোশাক পরে এসেছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের ওপর গুলি চালায়। তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
জিতেন্দ্র এবং তার সহযোগী কুলদীপ ফাজা, যিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির ছাত্র ছিল, দুবছর আগে স্পেশাল সেলের আধিকারিকদের হাতে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরে কুলদীপ ফাজা ২৫ মার্চ হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়। স্পেশাল সেলের আধিকারিকরা জানান, জিতেন্দ্র বা গোগির নেটওয়ার্কে ৫০ জনেরও বেশি লোক ছিল।
আরও পড়ুন- আগে ভেড়া ছিল,এখন ছাগল এসেছে', বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল
এই জিতেন্দ্রকে দু বছর আগে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালে গোগিকে গ্রেফতারের সময় বিপুল পরিমাণ কার্তুজ এবং অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। শুধুমাত্র গোগির তথ্যের জন্য দিল্লিতে ৪লক্ষ এবং হরিয়ানায় ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ
উল্লেখ্য, হরিয়ানার বিখ্যাত গায়ক-নৃত্যশিল্পী হর্ষিতার হত্যা মামলা গোগির নাম জড়ায়। এমনকী আম আদমি পার্টির নেতা বীরেন্দ্র মানকেও নারেলায় গোগী গ্যাংয়ের সদস্যরা গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালে, বুরারিতে গোগী এবং টিল্লু গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে একটি গ্যাং ওয়ার হয়েছিল, যার মধ্যে তিনজন খুন হয় এবং পাঁচজন আহত হয়।