ভারত সিন্ধুর জল না দিলে ঠিক কতটা ক্ষতি হবে পাকিস্তানের? রইল তারই হিসেবনিকেশ

India-Pakistan Water Dispute: পহলেগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই ভারত স্থগিত করেছে সিন্ধু জলচুক্তি। সোমবার থেকে বন্ধ চেনাব নদীর বাগলিহার ও সালাল বাঁধের গেট। ভারতের এই পদক্ষেপে পাকিস্তানের ঠিক কতটা ক্ষতি হবে। 

সিন্ধু চুক্তি স্থগিত

পহলেগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরই ভারত স্থগিত করেছে সিন্ধু জলচুক্তি। সোমবার থেকে বন্ধ চেনাব নদীর বাগলিহার ও সালাল বাঁধের গেট।

পাকিস্তানে যেত জল

এই নদীর জলই বাগলিহার ও সালাল বাঁধের মাধ্যমে যেত পাকিস্তনে। কিন্তু বাঁধের গেট বন্ধ করায় চেনাব নদীর নিচের অংশ শুকিয়ে রয়েছে।

জল বন্ধ পাকিস্তানে

পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতেই ভারত এই পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই অস্থায়ী বাঁধের গেট বন্ধ করে রাখালে পাকিস্তানের কী কী ক্ষতি হতে পারে ?

উদ্বেগ পাকিস্তানে

ভারতের এই কঠোর পদক্ষেপে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পাকিস্তানে। কারণ চেনাব নদীর জল পাকিস্তনের জন্য রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ।

জলের ঘাটতি

চেনাব নদীর জল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানে খারিফ শস্য চাষের মরশুমে ২১ শতাংশ জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে

পূর্বাভাস

যদিও এপ্রিল মাসে সিন্ধু জল ব্যবস্থায় ৪৩% জলের ঘাটতি থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারত জল বন্ধ করে দেওয়ায় নূন্যতম জলও পাবে না চাষের জমিতে।

চেনাব গুরুত্বপূর্ণ

পাকিস্তানের প্রায় ৮০ শতাংশ সেচযুক্ত কৃষিক্ষেত্র চেনাব নদীর জলের ওপর ভরসা করে থাকে। পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৭০০ মিটার প্রবাহিত হয়েছে চেনাব নদী আর সেটির সেচ ব্যবস্থা।

তুলো চাষে ক্ষতি

পাকিস্তানে চাষাবাদের জন্য এই সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। এখন তুলো চাষের সময়। চেনাব নদীর জল কমে যাওয়ায় সংকটে পড়ছে তুলো চাষীরা। যা ক্ষতিগ্রস্ত করবে পাকিস্তানের টেক্সটাইল শিল্পকে।

ক্ষতি অন্যান্য চাষে

ভারতের জল বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাকিস্তানের ধান, ডাল, তৈলবীজ , ভুট্টা, আখ চাষ।

ভারতের বক্তব্য

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত সরকারের আধিকারিক জানিয়েছেন, দুটি বাঁধের গেট বন্ধ রাখার সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়নি। ইচ্ছে করে বাঁধের গেট বন্ধ করা হয়নি।

পলি পরিষ্কার

সূত্রের খবর গত সপ্তাহে ডোডা ও কিশতোয়ারের উপরের অংশ প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল। সেই কারণে জলাধারে পলি জমে গিয়েছিল। তাই গেটবন্ধ করে পলি পরিষ্কার করা হচ্ছে

বাঁধ পরিষ্কার

এনএইচপিসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাঁধগুলো ফ্লাশ এবং বন্ধ করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সিন্ধু জল চুক্তির কোনও লঙ্ঘনের কথা অস্বীকার করেছেন।