Mock Dril: কাল পাকিস্তানের মোকাবিলায় দেশজুড়ে অসামরিক মহড়া, জানুন কী এই মক ড্রিল
Civilian mock drill:যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী কী করা যাবে আর কী করতে পারবে না দেশের সাধারণ মানুষ, তাই নিয়ে সাধারণ পাঠ দিকে বুধবার আসামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার অসামরিক নাগরিক মহড়া
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী কী করা যাবে আর কী করতে পারবে না দেশের সাধারণ মানুষ, তাই নিয়ে সাধারণ পাঠ দিকে বুধবার আসামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ
গতকাল, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে অসামরিক মহড়া চালাতে নির্দেশ দিয়েছে।
মক ড্রিল হবে
দেশের ২৭টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে হবে অসামরিক মহড়া। দেশের মোট ২৫৯টি এলাকায় হবে এই মহড়া।
পশ্চিমবঙ্গে মহড়া
পশ্চিমবহ্গের ৩১টি জায়গায় হবে অসামরিক মহড়া। যার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এখন থেকেই।
শেষ অসামরিক মহড়া
ভারতে শেষ অসামরিক মহড়া হয়েছিল ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়। তারপর দেশে এই প্রথম হতে চলেছে অসামরিক মহড়া।
মক ড্রিল কী?
অসামরিক মহড়া হল একটি অনুশীলন, যা জরুরি অবস্থার সময় মেনে চলচে হবে। দেশের নাগরিক আর সংস্থাগুলিকে নিরাপদ পরিবেশে রাখতেই যুদ্ধের আগে এই অনুশীলন করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্যও এজাতীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মক ড্রিল
মক ড্রিলে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ভূমিকা এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন সত্যিকারের জরুরি অবস্থা চলছে। কোনও ভবন খালি করা, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা আর লকডাউন পদ্ধতি অনুসরণ করা- এগুলি অঙ্গ হতে পরে মক ড্রিলের।
মক ড্রিলের সময় কী ঘটবে?
বিমান হামলা. ব্ল্যাক আউট যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে তারই বিস্তারিত মহড়া দেওয়া হবে।
বিমান হামলা
- এই মহড়ায় বিমান হামলার সাইরেন আকাশ হুমকি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর তা মূল্যায়ন করা হবে।
- এর লক্ষ্য হলো বিমান হামলার ক্ষেত্রে দ্রুত এবং নিরাপদে সাড়া দেওয়ার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
- বেসামরিক কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর মধ্যে হটলাইন এবং রেডিও লিঙ্কগুলি সক্রিয় এবং পরীক্ষা করা হবে।
নাগরিক প্রতিরক্ষা কৌশল
- এই মহড়াটি জরুরি অবস্থার সময় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং তাদের ব্যাকআপ কতটা ভালোভাবে কাজ করে তা পরীক্ষা করবে।
- মৌলিক নাগরিক প্রতিরক্ষা কৌশলের মাধ্যমে শত্রুতাপূর্ণ আক্রমণের সময় নিজেদের রক্ষা করার জন্য শিক্ষার্থীসহ সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
- এই মহড়ায় ব্ল্যাকআউট অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে বাসিন্দাদের বিমান হামলার সময় পরিস্থিতি অনুকরণ করার জন্য আলো বন্ধ করতে বলা হতে পারে।
- কর্তৃপক্ষ বিমানঘাঁটি, শোধনাগার এবং রেল ইয়ার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলিকে আকাশ থেকে সনাক্তকরণ বা আক্রমণ থেকে রক্ষা করার অনুশীলন করবে।
উদ্ধাকারীদের ভূমিকা
উদ্ধারকারী দল এবং অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হবে। বিপদজনক অঞ্চল থেকে নিরাপদ এলাকায় মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও মহড়া করা হবে।
বেসামরিক নাগরিকরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম পরিচালনা এবং জরুরি অবস্থার সময় আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ পাবেন।
ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট
রাতে হামলার ক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়া মাত্র যাতে হঠাৎ করে সমস্ত আলো নিভিয়ে দিয়ে ক্রাশ ব্ল্যাকআউট করে শত্রু বিমানবাহিনীকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া যায় তারও মহড়া হবে।

