বাইকের হেলমেট (Helmet) সংক্রান্ত বিষয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার। সস্তা এবং নকল হেলমেট প্রস্তুতকারক সংস্থা ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
বাইকের হেলমেট (Helmet) সংক্রান্ত বিষয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার। সস্তা এবং নকল হেলমেট প্রস্তুতকারক সংস্থা ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
শুধু তাই নয়, নকল হেলমেট বিক্রেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে, দুর্ঘটনার সময় এই ধরনের হেলমেট সুরক্ষা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হচ্ছে।
আসলে নকল বা ডুপ্লিকেট হেলমেটগুলি অরিজিনাল হেলমেটের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই দুর্ঘটনার সময় এগুলি সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে যায় এবং মাথাকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে পারে না।
তাছাড়া এই হেলমেটগুলি সঠিক আকারের হয় না। যার দরুণ এগুলি মাথায় ঠিকভাবে ফিটও করা যায়না এবং দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে যায়। বলা যেতে পারে, একেবারেই নন-স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটির হেলমেট। এই ধরনের হেলমেটগুলিতে কোনওভবেই নিরাপত্তার মান সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না। ফলে, মাথায় গুরুতর আঘাতের একটা সম্ভাবনা থেকে যায়।
ডুপ্লিকেট হেলমেট বিক্রি নিষিদ্ধ করতে পারলে সড়ক নিরাপত্তা অনেকটাই উন্নত হবে এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে, সরকারের এই পদক্ষেপ প্রকৃত এবং উচ্চমানসম্পন্ন হেলমেট উৎপাদন ও বিক্রিকে উৎসাহিত করবে। সুরক্ষিত থাকবে উপভোক্তাদের স্বার্থ। সঠিক মানসম্পন্ন হেলমেট তারা ব্যবহার করতে পারবে এবং দুর্ঘটনা কমবে।
অন্যদিকে, হেলমেট কেনার আগে তার গুণমান এবং নিরাপত্তার মান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া হেলমেট কেনার সময়, অবশ্যই বিল নিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হলে সেটি পরে ব্যবহার করা যায়।
হেলমেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব কাপুর জানিয়েছেন, “সরকারকে টু-হুইলার মোটর যানবাহন সংক্রান্ত আদেশ ২০২০-এর মাধ্যমে, আরোহীদের জন্য হেলমেটের নিয়মগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিৎ। যা ২০২১ সালের জুনে কার্যকর করা হয়েছিল।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।