PM Modi on Mahakhumbh: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) সংসদে (Parliament) প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের সফল আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন কুম্ভের সাফল্যের জন্য দেশজু়ড়ে ও ভক্তদের নিষ্ঠার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
PM Modi on Mahakhumbh: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) সংসদে (Parliament) প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের (Mahakhumbh at Prayagraj) সফল আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন কুম্ভের সাফল্যের জন্য দেশজু়ড়ে সাধারণ সাধারণ মানুষ, প্রশাসন ও ভক্তদের নিষ্ঠার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মহাযজ্ঞের অবদান রাখা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্যই এই সফল্য এসেছে বলেও মন্তব্য করেন। লোকসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশ ও প্রয়াগরাজের জনগণের প্রতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি মহাকুম্ভকে ভারতের ক্রমবর্ধমান জাতীয় চেতনার প্রতীক বলেও অভিহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমি এখানে প্রয়াজরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ সম্পর্কে কটি বিবৃতি দিতে এসেছি। মহকুম্ভের সফল আয়োজনের জন্য আমি জনসাধারণে ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মহাকুম্ভের সাফল্য বিভিন্ন ব্যক্তির প্রচেষ্ঠার ফল। আমি সকলকেই ধন্যবাদ জানাতে চাই। দেশের ভক্ত, উত্তরপ্রদেশের জনগণ , বিশেষ করে প্রয়াগরাজের বাসিন্দাদের। আমরা সকলেই জানি গঙ্গাকে পৃথিবীতে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তেমনই মহাযজ্ঞের আযোজনের জন্য একই রকম প্রচেষ্টা করা হয়েছে। ' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, মহাকুম্ভের মাধ্যমে বিশ্ব ভারতের মহান গৌরব দেখেছে। এর কারণ দেশের মানুষের অবদান। এই মহাকুম্ভ জনগণের বিশ্বাস, জনগণের দৃঢ়় সংকল্পের কারণ। এই মহাকুম্ভের জাতীয় চেতনার মাহাত্ব দেখা গেছে।
সংসদ থেকেই মোদী বিরোধীদের নিশানা কেন। তিনি বলেন, 'প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের সাফল্য ভারতের সক্ষমতা সম্পর্কে কিছু সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। সমালোচকদের মুখের ওপর জবাব দিয়েছে।' তিনি আরও বলেছেন, এই অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক সমাবেশ ছিল না। এটি ছিল দেশের সম্ভাবমনা ও সংকল্পের একটি শক্তিশালী প্রদর্শন। তিনি একই সঙ্গে রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, 'রাম মন্দির অনুষ্ঠানের সময় আমরা পরবর্তী ১০০০ বছরের জন্য দেশের প্রস্তুতি অনুভব করেছি। আজ মাত্র এক বছরে পরে মহাকুম্ভের আয়োজন সে একই দৃষ্টিভঙ্গকে আরও শক্তিশালী করে। 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার ভাষণে মহাকুম্ভ এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তের মধ্যে একটি শক্তিশালী সাদৃশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, '১৮৭৫ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম হোক, বীর ভগত সিং-এর শাহাদাত, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর 'দিল্লি চলো'-এর ডাক, অথবা গান্ধীজির ঐতিহাসিক ডান্ডি মার্চ - এই পর্যায়গুলি ভারতের স্বাধীনতা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।' তিনি মহাকুম্ভকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবেই তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহাকুম্ভের মাহাত্ম্যের কথা বললেও সেখানে পদদলিত হয়ে নিহতের কথা একবারও স্মরণ করেননি। তাঁদের শ্রদ্ধাও জানাননি। রাহুল গান্ধী আরও বলেন, মোদীর ভাষণে রীতিমত হতাশ হয়েছে নিহতদের পরিবার। রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী (মোদী) যা বলেছেন তা সমর্থন করতে চেয়েছিলাম। কুম্ভ আমাদের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি। আমাদের একমাত্র অভিযোগ হল যে প্রধানমন্ত্রী কুম্ভে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেননি। মহাকুম্ভে যাওয়া যুবকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও একটি জিনিস চেয়েছিলেন, তা হল কর্মসংস্থান। তার এই বিষয়েও কথা বলা উচিত ছিল।'
পাশাপাশি লোকসভায় তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন। রাহুল গান্ধী বলেন, 'গণতান্ত্রিক কাঠামো অনুযায়ী লোকসভায় বিরোধী দলনেতাকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া উচিৎ। কিন্তু সরকার পক্ষ আমাকে সেই সুযোগ দিচ্ছে না।'