Haryana Violence: 'নুহর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক', হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী জানালেন হিংসার বলি ৬ - গ্রেফতার ১১৬

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মনোহরলাল খট্টর বলেন, নুহ-তে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনায় ৬ জন প্রাণ হারিয়েছে।যার মধ্যে দুই জন হোমগার্ড ও চারজন সাধারণ মানুষ কয়েছে। এছড়াও বহু মানুষ আহত হয়েছে।

 

Saborni Mitra | Published : Aug 2, 2023 10:25 AM IST

হরিয়ানার হিংসার ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। তিনি বলেন, হরিয়ানার নুহর ঘটনা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক। গোটা ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হবে। হিংসার ঘটনায় চার জন সাধারণ নাগরিক ও ২ হোমগার্ডের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এই হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭০ জন জখম হয়েছে।

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মনোহরলাল খট্টর বলেন, 'নুহ-তে যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনায় ৬ জন প্রাণ হারিয়েছে।যার মধ্যে দুই জন হোমগার্ড ও চারজন সাধারণ মানুষ কয়েছে। এছড়াও বহু মানুষ আহত হয়েছে। বর্তমানে তাদের নলহার, গুরুগ্রামে মেদান্ত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ' তিনি আরও বলেন রাজ্য সরকার এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রকারীদের সামনে আনবে। শুরু হয়েছে তদন্ত। তিনি আরও জানিয়েদেন রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পলাতক ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে এবং গ্রেপ্তারের জন্য একটি অনুসন্ধান অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত, এই ঘটনার সাথে জড়িত ১১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সকলকে আজ রিমান্ডে পাঠানো হবে যাতে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যায়। যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। আক্রান্ত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ন্যায় বিচার পাবে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নুহতে ৩০ কোম্পানি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে ২০ কোম্পানি অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী চাওয়া হয়েছে। পালওয়ালে ৩ ও গুরুগ্রামে ২ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নুহতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১৪ কোম্পানি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের বাসিন্দাদের নিরাপত্তাই এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ ও সুরক্ষা সংস্থাগুলি সতর্ক রয়েছে। রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জনগণকেও শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার প্রবল হিংসার ছবি দেখেছে নুহ। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। তারই জেরে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে একটি শিব মন্দিরে লুকিয়ে থেকে প্রাণ বাঁচাতে হয়। এই ঘটনার পরই রাতের দিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গুরুগ্রাম। সেখানে সংঘর্ষের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক ইমামের। এছাড়াই দুই হোমগার্ড ও একজন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনারই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। কিন্তু তারপরেও মঙ্গলবার বিকেলে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল বাদশাপুরে।

 

Share this article
click me!