চন্দ্রযান-২-এর চাঁদে অবতরণের মুহূর্তেই সাক্ষী থাককতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইমতো বেঙ্গালুরুতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো-তে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-২-এর পা রাখার ঘটনার সাক্ষী থাকতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৭০ জন পড়ুয়াও। অনলাইনে স্পেস ক্যুইজ কনটেস্টে জিতে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি দেখার সাক্ষী ছিল ওই পড়ুয়ারা। যদিও চন্দ্রযান-২ ল্যান্ডারের সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই খানিকটা মনক্ষুণ্ন হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু তাঁদের আশাহত হতে না করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদের মধ্যেই একজন প্রধানমন্ত্রীকে বলে যে, সে দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চায়, আর সেইজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ চান যে, তার এই লক্ষ্যে পৌঁছোতে গেলে কী করতে হবে।
অধরা রইল ইতিহাস,তবুও ইসরোকে উৎসাহ যোগাতে শুভেচ্ছাবার্তায় উপচে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়া
'আপনাদের নিয়ে গর্বিত গোটা দেশ', ইসরোর বিজ্ঞানীদের উদ্বুদ্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রী
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিক্রম ল্যান্ডার-এর থেকে, থমথমে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মুখ, সাহস জোগালেন প্রধানমন্ত্রী
এরপরই মজার ছলে ওই পড়ুয়াকে মোদী জিজ্ঞাসা করেন, কেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী কেন নয়। তারপর সহাস্য মুখে ওই পড়ুয়াকে অটোগ্রাফও দেন তিনি। তারপর প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে ধরেন আরও অসংখ্য পড়ুয়া। মহাকাশ নিয়ে তারা তাঁদের নানা মতামত শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। সবশেষ পড়ুয়াদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী কঠোর পরিশ্রম করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি জীবনে কোনওকিছু পাওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাসও রাখতে বলেন তিনি।