হোলি (Holi 2022) উদযাপনকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আমরোহায় (Amroha) হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ। যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) গান বাজাতেই শুরু পাথর ছোঁড়া।
হোলি (Holi 2022) বা দোল হল রঙের উৎসব। এই রঙের উৎসবে, সব জাত ধর্ম বর্ণের বিভেদ মিটিয়ে, সকলকে মিলিয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। তবে শুক্রবার, সদ্য নির্বাচন হওয়া উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আমরোহায় (Amroha), দোল উদযাপন উপলক্ষে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক বিবাদ বেধে গেল। যার জেরে ওই এলাকায় মোতায়েন করতে হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকাই এখন থমথম করছে।
পশ্চিম উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার চাঙ্গা দরওয়াজা মহল্লায় (Mohalla Changa Darwaza) এদিন হোলি উদযাপন উপলক্ষ্যে ডিজে লাগানো হয়েছিল। লোকজন রঙ খেলার সঙ্গে নাচানাচিও করছিল। দুই বছর পর দোল উদযাপনের সুযোগ মিলেছে। তাই, মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা একটু বেশিই ছিল। আর তার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল, যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) সরকারের ফের ক্ষমতায় ফেরার আনন্দ। তাতেই এমন কাণ্ড ঘটে, যে মুসলিম সম্প্রদায়ের একদল লোক, দোল খেলতে মত্ত ওই ব্যক্তিবর্গকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - হোলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এমন কী করলেন রোহিত-রীতিকা, রেগে আগুন কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা
আরও পড়ুন - ফের বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে ভাংচুর - দোলপূর্ণিমার রাতেই পরিকল্পিত হামলা, আহত ৩
আরও পড়ুন - দোলে ‘রঙ রুটে’ যাদবপুর, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে দানা বাঁধছে বিতর্ক
দোল উদযাপনকারী ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ডিজেতে গান বাজছিল এবং তারা নাচছিলেন। একসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) উপর তৈরি একটি গান বাজানো হয় ডিজেতে। আর যোগীকে নিয়ে গাওয়া সেই গান ওই মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা পছন্দ করেননি। দোল উদযাপনকারীরা যখন সেই গানের সঙ্গে নাচছিলেন, আচমকাই তারা তাদের উপর পাথর ছুড়তে শুরু করেন।
উত্তরপ্রদেশ বিজেপির পক্ষ থেকে ঘটনার দুটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে -
ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পাথরের আঘাতে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ, ওই স্থানে দোল উদযাপন বন্ধ করে দেয় এবং ডিজেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা শুরু করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চন্দ্রশেখর শুক্লা অবশ্য যোগীকে নিয়ে তৈরি গানটিই এই বিতর্কের কারণ বলে, মানতে চাননি। তাঁর দাবি, নামাজ চলাকালীন ডিজে বাজানোর কারণেই এই বিবাদ বেধেছিল। তিনি জানান, এই বিষয়ে পুলিশ সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।
দোলের দিন রাজ্যে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে, যাতে দুই সম্প্রদায়ে কোনও বিবাদ না লাগে, তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। গত কয়েক বছরের মতো, এই বছরও আলিগড়ের মসজিদগুলি দোলের আগের দিন রাত থেকেই বড় ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। মসজিদের গায়ে যাতে কেউ রঙ না ছুঁড়তে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।