Housewife suicide: 'মোটা' হওয়ায় 'খোঁটা', বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে জীবন শেষ করল গৃহবধূ

নিহত গৃহবধূ ১৯ বছরের বয়সের নাফলা। তাঁর ভাই জানিয়েছেন, স্বামীর ঘর থেকেই গলায় ফাঁস লাগান অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর বোনের দেহ।

Saborni Mitra | Published : Nov 28, 2021 12:39 PM IST


বিয়ের মাত্র ১০ মাস পরেই শ্বশুরবাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) গৃহবধূ (House Wife)। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের (Kerala) পালাক্কাডে। নিহত গৃহবধূর পরিবারেরসদস্যরা জানিয়েছেন তাঁদের মেয়েকে নানা ভাবে অত্যাচার করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথে বেছে নিয়েছে নির্যাতিতা। এই ঘটনার নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

নিহত গৃহবধূ ১৯ বছরের বয়সের নাফলা। তাঁর ভাই জানিয়েছেন, স্বামীর ঘর থেকেই গলায় ফাঁস লাগান অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর বোনের দেহ। স্বামীর পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন। কিন্তু স্বামীর পরিবারের সদস্যদের কথা তিনি বিশ্বাস করেন না বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নাফলাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয়েছে নির্যাতন। সেই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন নাফলা। 

Gautam Adani: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার ধনী গৌতম আদানি, জানুন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ

Killer Mother: ধর্ষণের অপমান, সহ্য করতে না পেরে নাবালিকা মা খুন করল ৪০ দিনের সন্তানকে

TMC vs Congress: 'এটা তৃণমূলের ব্যাপার', আধীর চৌধুরীর নিশানায় ঘাসফুল শিবির

নিবতের মা ও ভাইয়ের অভিযোগ নাফলা মোটা হওয়ার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা প্রায়ই তাঁকে খোঁটা দিত। স্থূলাকার হওয়ায় তাঁর সন্তান হবে না বলেও গঞ্জনা শুনতে হয়েছে নাফলাকে। মেদ কমানোর নানা চেষ্টা করেছিল নাফলা। ডায়েট করেছে। না খেয়েও থেকেছে। যোগা জিম কিছুই বাদ রাখেনি। কিন্তু মেদ কমেনি। বোনার শরীর নিয়ে নিত্যদিন সমালোচনার করার জন্যই সে আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ ভাইয়ের। 

নাফলার ভাই আরও জানিয়েছেন চলতি বছর ১০ জানুয়া তাঁর বোনের বিয়ে হয়েছিল। তারপর থেকেই সন্তান ধারণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বোনের ওপর। কিন্তু ১০ মাস পরেও বোন গর্ভাবতী হয়নি। তাতেই অত্যাচারের মাত্রা বাড়াচ্ছিল পরিবারের সদস্যরা। বোন মোটা ছিল। সেই কারণে সন্তান ধারনে তাঁর বোন ব্যর্থ বলেও গঞ্জনা দেওয়া হয়েছিল। দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা বেড়েছিল। তাই সহ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় আত্নহত্যা করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

মৃতার মা আরও জানিয়েছেন নাফলার মৃত্যুর পর তাঁর দেহটি একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের কোনও সদস্য নাফলার দেহ নিয়ে আসেনি। নাফলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পালাক্কাডের মানকারা থানায়।গত ২৫ নভেম্বর নাফলা আত্মহত্যা করে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে নাফলা একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছে। সেখানে সে তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ি করেননি। কিন্তু নাফলার মা ও ভাই নাফলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

 

Share this article
click me!