চারিদিকে হলুদ ধোঁয়া-মুখ ঢেকে পালাচ্ছেন সাংসদরা! দেখে নিন লোকসভার ভিতরে কাঁদানে গ্যাস ফাটানোর ছবি
বুধবার লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনে ‘জ়িরো আওয়ার’-এ হুলস্থুল ঘটনায় চাঞ্চল্য। জানা গেল দু’জনের নামও। দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন সাগর শর্মা নামে এক জন। তিনিই পুরো ঘটনায় ‘নেতৃত্ব’ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
লোকসভায় ঢুকে সভা চলাকালীন হামলা চালান দুই যুবক। তাঁরা সভার মাঝে ‘রং বোমা’ ছোড়েন এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন। আচমকা লোকসভায় এই হামলা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে সাংসদদের মধ্যে।
গ্যাস দেখে সভায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ধোঁয়া বিষাক্ত হতে পারে, সেই আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে পড়েন সাংসদেরা। হামলাকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। দুই সাংসদ দ্রুত তাঁদের ধরে ফেলেন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেন।
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বক্তৃতা রাখার সময় এই ঘটনায় বিরাট চাঞ্চল্য ছড়ায়। লোকসভার ওয়েলে কাঁদানে গ্যাস নিয়ে ঢুকে পড়েন ওই ২ ব্যক্তি। আচমকা তাঁদের ঢুকে পড়া আটকাতে পারেননি কোনও রক্ষী।
ওয়েলের মধ্যেই ব্যাপক ধোঁয়া সৃষ্টি করে ফাটে কাঁদানে গ্যাস। চোখে জল নিয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন সমস্ত মন্ত্রী- আমলারা। উল্লেখ্য, ২২ বছর আগে, ২০০১ সালের সংসদ হামলা ঘটেছিল এই একই তারিখে, ১৩ ডিসেম্বর। ২০২৩ সালে এসে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
কাঁদানে গ্যাসের গোলা নিয়ে সংসদের মধ্যে কীভাবে ২ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের মানুষ ঢুকে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয়, এর পেছনে নিরাপত্তার গাফিলতি রয়েছে বলেই মনে করছেন সকলে।
জানা যাচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ছিল ‘স্মোক গ্রেনেড’। বস্তুত, বুধবারই সংসদে হামলার ২২ বছর পূর্তি। ওই দিনই এই হামলার ফলে দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগ আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে, প্রতিবেদনে প্রকাশ, সাগর একটি ভিজিটর পাস জোগাড় করেন বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি বলে। তাঁরই সঙ্গে নীলম কৌর নামে আরও এক জন সংসদে ঢোকার চেষ্টা করেন।
কী স্লোগান দিচ্ছিলেন হামলাকারীরা? দুই যুবক চিৎকার করে বলছিলেন, ‘একনায়কতন্ত্র চলবে না’। লোকসভার পরিবহণ ভবনের সামনে থেকে আরও দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলাও ছিলেন। তাঁরাও একই ধরনের স্লোগান দিচ্ছিলেন।