কাকপক্ষীতেও টের পেলনা বায়ু সেনার প্রধানের লে সফর, লাদাখে কি যুদ্ধের দাদামা বাজল

Published : Jun 19, 2020, 04:00 PM ISTUpdated : Jun 19, 2020, 04:27 PM IST
কাকপক্ষীতেও টের পেলনা বায়ু সেনার প্রধানের লে সফর, লাদাখে কি যুদ্ধের দাদামা বাজল

সংক্ষিপ্ত

২ দিনের লে সফরে বায়ু সেনা প্রধান সরেজমিনে খুঁটিয়ে দেখেন সীমান্ত পরিস্থিতি সীমান্ত যুদ্ধ বিমানের সম্ভার বাড়াচ্ছে ভারত 

কাকপক্ষীতে টের পেল না। কিন্তু ভারতের বায়ু সেনার প্রধান রাকেশ কুমার সিং ভাদুরিয়া সরেজমিনে দেখে এলে লাদাখের পরিস্থিতি।  দু দিনের সফরে তিনি গিয়েছিলেন লাদাখ। সেখান থেকে লে সফর করেন তিনি। সূত্রের খবর ঘুরে দেখেন গালওয়ান উপত্যকাও। যে এলাকা নিয়ে চিনের সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল ভারত। সামরিক পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকের পরে এখনও পর্যন্ত মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত সেনা সেনা সরাতে রাজি হয়নি চিন। পাশাপাশি পূর্ব লাদাখের সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবার সৈন্য জমায়েত করছে চিন। আনা হয়েছে সমর যানও। 

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাকেশ কুমার সিং-এর লে সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর বিমান বাহিনীর প্রধান দু দিনের সফরে ঘুরে দেখেন পূর্ব লাদাখ সীমান্তের সেই সব এলাকাগুলি যেগুলি চিনা অগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি গোটা এলাকার পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন তিনি। 


১৭ জুন লে ও ১৮ জুন শ্রীনগর বিমান বন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। পূর্ব লাদাখ সীমান্ত থেকে এই দুটি বিমান বন্দর খুবই কাছে। যুদ্ধ বিমান পরিচালনা করাও খুব সহজ বলে মনে করেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। এই বিমানবন্দরগুলি থেকে পাহাড়ী সীমান্ত ও চিনের ওপর নজরদারী চালান সহজ বলেও মনে করেছেন অনেকে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিমান বাহিনীর পদস্থ আধইকারিকরা। 

গালওয়ান উপত্যকার নামকরণের ইতিহাস, কারাকোরামের পাহাড়ে মিশে রয়েছেন গুলামের শৈশব ...

অন্যদিকে আবার দেখা যাচ্ছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সুখোই-৩০এমকেআই, মেরাজ ২০০০, জাগুয়ারের মত যুদ্ধ বিমানের সম্ভার বাড়ান হয়েছে উপত্যকায়। খুব অল্পক্ষণের নোটিশেই বিমানগুলি উড়তে পারবে বলেও সূত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে। 

মাত্র ২-৩ মাসেই উধাও অ্যান্টিবটি, বারবার করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা ..

পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য আমেরিকান অ্যাপাচে হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। স্থল সেনা কর্তৃক পরিচালিত এলাকার কাছাকাছি তা মোতায়েন করা হয়েছে। দ্রুত সেনা পরিবহণের জন্য চিনুকস হেলিকপ্টারটি মোতায়েন করা হয়েছে লে বিমান বন্দরে। এমআই ১৭ভি ৫ মাঝারি চপারও সেখানে সেনা পরিবহণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। 

লে,শ্রীনগর, অবন্তিপুর, বেরিলি আদমপুর হালওয়ারা, আম্বালা এবং  লাদাখ এলাকায়  একাধিক বিমানঘাঁটি রয়েছে। সূত্রের খবর চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে কোনও কিছুরই কসুর করছে না ভারত।  চিনা বিমানের ওপর নজর রাখার জন্য লাদাখের কাছে  হোটান ও গার গুনসা এলাকাও কাজে লাগানো যেতে পারে। যা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৪ হাজার ফুট উঁচুতে। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই সীমান্তের ওপারে প্রায় হাজারেরও বেশি সৈন্য জড়ো করেছে চিন। দাঁড়িয়ে রয়েছে সাঁজোয়া ট্রাক ও সমর যান। এদিনে ভারতও লাদাখ সীমান্তে সৈন্য বাড়াচ্ছে বলে খবর। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল