দেশ জুড়ে করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সঠিক উপায়ে আইসিইউ বেড পেতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে করোনা রোগিদের। লোকাল সার্কেলের সমীক্ষা বলছে, যদি কোনও করোনা রোগির উচ্চ পর্যায়ের চেনাশোনা থাকে বা যোগাযোগ থাকে, তবেই মিলছে আইসিইউ বেড। নয়তো হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে রোগির পরিবারকে।
আরও পড়ুন - সভায় গিয়ে সোজা হোম আইসোলেশনে অধীর, তাঁকে ঘিরেও বাড়ছে করোনার ভ্রুকুটি
লোকাল সার্কেলের সমীক্ষা বলছে গত এক মাসে ১৭গুণ বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২০২০ সালের থেকে ২০২১ সালের করোনা আক্রান্তের সংখ্যার দ্রুত গতি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। ১৬ হাজার থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭৫,০০০। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী এক মাসে আইসিইউ বেডের আকাল দেখা দিতে চলেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১৭০ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ২০ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৯৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৬১ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৮২। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ জনের।
আরও পড়ুন - বেড নেই, সরকারি স্কুলকে হাসপাতাল বানাল রাজ্য সরকার
গোটা দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ২১ হাজার ৮৯ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩০ জনে। এদিকে, পয়লা মে থেকে টিকাকরণের আওতায় আসছে ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে থাকা মানুষজন। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে করোনা টিকা উৎপাদনে জোর দিচ্ছে সংস্থাগুলি। টিকাকরণ নিয়ে সোমবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি পরিস্কার করে জানিয়ে দেন, টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় যাতে অতি দ্রুত দেশের সর্বাধিক জনসংখ্যাকে নিয়ে আসা যায় তার জন্য গত এক বছর ধরেই চেষ্টা করে চলেছে সরকার।
এদিকে, লোকাল সার্কেলের সমীক্ষা জানাচ্ছে মাত্র ১৩ শতাংশ রোগি সঠিক পদ্ধতিতে আইসিইউ বেড পাচ্ছেন। বাকি ৫৫ শতাংশ রোগি ব্যবহার করছেন নিজেদের উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ। ৫ শতাংশ রোগি চাইলেও পাচ্ছেন না বেড।