কোঅর্ডিনেশন কমিটিতে রয়েছে, কংগ্রেসের সাধরণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বড় সিদ্ধান্ত স্বপ্নের শহর মুম্বইতে। শুক্রবার জোটের বৈঠকে ১৩ সদস্যের সমন্বয় কমিটির ঘোষণা করল জোট নেতৃত্ব। এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নম্বর ২ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজ এলাকায় হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে বিজেপি বিরোধী ২৮টি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। সেখানেই ১৩ সদস্যের সমন্বয় কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই কমিটির নেতার নাম এখনও পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি।
এই কমিটিতে রয়েছে, কংগ্রেসের সাধরণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আপ সাংসগ রাঘব চাড্ডা, সমাজবাদী পার্টির জাভেদ খান, জনতা দল ইউনাইটেডের জাতীয় সভাপতি লালন সিং, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সিপিআই নেতা ডি রাজা, ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ, পিপিলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি। তবে প্যানেলের নেতার নাম পরবর্তীকালে ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছে জোট নেতৃত্ব।
এদিনের বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সর্বসম্মত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলগুলি একত্রিত হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বিভিন্ন রাজ্যের আসন ভাগাভাগি নিয়ে দ্রুত আলোচনাও শুরু করবে। জোটের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করবে।
এদিন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। তিনি বলেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোট যত শক্তিশালী হচ্ছে কেন্দ্র ততই বিরোধী নেতা নেত্রীদের হেনস্থা করতে এজেন্সিগুলিকে সক্রিয় করে দিচ্ছে। খাড়গে আরও বলেন, কৃষক, যুবক, মহিলা , পিছিয়ে পড়া, মধ্যবিত্তি মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী, সমাজকর্মী ও সাংবাদিকদেরও বিজেপি সরকার ছে। মাঝেমধ্যে হেনস্থা করছে। তিনি দেশে হিংসার পরিবেশ তৈরি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন।
এদিন জোটের নেতারা জানিয়েছে, জোটের জন্য মুখপাত্র নিয়োগ করা হবে। মুখপাত্র মূল কাজই হলে জোটের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। একটি আলোচনার পথ মসৃণ করা। জাতীয় রাজধানীতে জোটের একটি অফিস তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এই বৈঠকে ইন্ডিয়ার একটি নতুন লোগো উন্মোচিত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা প্রতীক চিহ্ন রয়েছে। এবার জোটের সাধারণ লোগো তৈরি হলে তবে কি সেই চিহ্নেই লড়বেন জোটের প্রার্থীরা?