মোক্ষম চাল নরেন্দ্র মোদীর, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের সামরিক সমঝোতা ভয় বাড়াল পাকিস্তানের

Published : Sep 12, 2021, 08:02 AM IST
মোক্ষম চাল নরেন্দ্র মোদীর, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের সামরিক সমঝোতা ভয় বাড়াল পাকিস্তানের

সংক্ষিপ্ত

অস্ট্রেলিয়ার তরফে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী মারিস পেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন। দ্বিপাক্ষিক বহুমুখী সহযোগিতার কথা বলা হয় এই বৈঠকে।

আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনের রক্তচক্ষু, নিয়ন্ত্রণ রেখা পাকিস্তানের আস্ফালন, সীমান্তে চিনা সেনার জুজু-সব কিছুর উত্তর একসাথে দিল ভারত (India)। অস্ট্রেলিয়াকে (Australia) পাশে রেখে সামরিক সমঝোতায় তৈরি হল নতুন সমীকরণ। দুদেশের পারস্পরিক নিরাপত্তার আশ্বাস যেন এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের মতো। শনিবার টু প্লাস টু বৈঠকে (2+2 Dialogue) অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বৈঠকে মিলল তেমনই বার্তা। 

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সামরিক কোন কোন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন আলোচনা চলে সেই বিষয়ে। কীভাবে সীমান্ত সুরক্ষা বজায় রাখা সম্ভব, তাও আলোচনা হয়। দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় সাধনের ভিত্তিতে দুই দেশ সাহায্যের হাত বাড়ানোর অঙ্গীকার করে। 

অস্ট্রেলিয়ার তরফে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী মারিস পেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন। দ্বিপাক্ষিক বহুমুখী সহযোগিতার কথা বলা হয় এই বৈঠকে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে সাম্প্রতিক আফগান পরিস্থিতি নিয়ে দুদেশের অবস্থান। বৈঠকের পরে বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ২৫৯৩ প্রস্তাব অনুযায়ী সব আন্তর্জাতিক শক্তির এক জোট হওয়া উচিত বলে বৈঠকে দুই দেশ একমত হয়েছে।

এর আগে, আফগানিস্তান প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছিলেন কাবুলে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে যে কেউ তার সুযোগ নিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি দেশকে সতর্ক থাকতে হবে। আফগান মাটিকে ব্যবহার করে কোনওভাবেই যেন সন্ত্রাসবাদ শিকড় ছড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ভারত। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০শে অগাষ্ট  রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে ২৫৯৩ প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চিন ও রাশিয়া প্রস্তাবে সম্মতি না দিলেও সংখ্যাধিক্যের সমর্থনে তা গৃহীত হয়। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের জন্য ব্যবহৃত হবে না। 

এদিনের বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন এই বৈঠক দুই দেশের কৌশলগত দিক তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী সহ ‘কোয়াড’ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার আগে এই বৈঠক দুই দেশের কৌশলগত সামরিক সম্পর্ক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ব্যাপ্তি পর্যালোচনার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ।

PREV
click me!

Recommended Stories

Indigo Flights: যাত্রীদের ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিল ইন্ডিগো! কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র
জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য নিরাপত্তারক্ষীদের, ডোডা জেলায় সন্ধান অস্ত্রভাণ্ডারের