রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় পূর্ণাঙ্গ বৈঠকের সময়ই পাকিস্তানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত রুচিরা কাম্বোজ বলেছেন, যে প্রতিবেশী দেশগুলি সীমিত বিভ্রান্তিকর দৃষ্টিভঙ্গি যেথেষ্ট দুঃখজনকভাবে স্থির হয়ে রয়েছে।
ভারতের রাম মন্দির ও নাগরিক সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে পাকিস্তানের মন্তব্য যে ভারত মেনে নেবে না তা আবারও বুঝিয়ে দিল রাষ্ট্র সংঘের অধিবেশনে। ভারতে সেখানে পাকিস্তানের মন্তব্যকে 'ভাঙা রেকর্ড' বলে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি পাকিস্তানকে সাবধান করে দিয়েছে ভারতের দেশীয় ব্যাপারে পাকিস্তান যেন হস্তক্ষেপ না করে তারই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় পূর্ণাঙ্গ বৈঠকের সময়ই পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরামের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত রুচিরা কাম্বোজ বলেছেন, যে প্রতিবেশী দেশগুলি সীমিত বিভ্রান্তিকর দৃষ্টিভঙ্গি যেথেষ্ট দুঃখজনকভাবে স্থির হয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান একই কথা বলে যাচ্ছে যা স্বভাবতই ভাঙা রেকর্ডের সামিল। তিনি বলেন, 'একটি চূড়ান্ত পয়েন্ট একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা ঠিক নয়। এটা একটি ভাঙা রেকর্ডের মত। বিশ্বের উন্নতির সময় দুঃখজনকভাবে স্থবির থাকে।'
আক্রম মুনিক অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পবিত্রকরণের পাশাপাশি সিএএ নিয়ে সাম্প্রতিক বাস্তবায়নের উল্লেখ করেছেন। এই সিএএ-র মাধ্যমে পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমাদের দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে এই প্রতিনিধি দলের সীমিত ও বিপথগামী দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যক্ষ করা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।'
বিশ্বব্যাপী ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলায় বিশেষ দূতের আহ্বান জানিয়ে পাকিস্তানের নেতৃত্বাধীন ওআইসি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি বিবৃতি দেওয়ার সময়ই ভারতের রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানকে মোটের ওপর ধুয়ে দেয়। সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। পাকিস্তানের এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে ১১৫টি দেশ। ভারত এই প্রস্তাবে সমর্থন জানালেও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকে ৪৪টি দেশ। কিন্তু কোনও দেশই এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়নি।