দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ, পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভারত

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলছে নয়াদিল্লি বলে জানানো হয়েছে।

দুর্গাপুজো ঘিরে চরম অশান্তি বাংলাদেশে(Durga puja violence in Bangladesh)। বৃহস্পতিবার থেকে এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারতও(India)। বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক(Ministry of External Affairs) এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলছে নয়াদিল্লি বলে জানানো হয়েছে।

নয়াদিল্লি জানিয়েছে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের(consulates) সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ভারতীয় হাইকমিশনের(Indian High Commission) সঙ্গেও। কথা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গেও। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ দিল্লি লক্ষ্য করেছে। বাংলাদেশ সরকার এই পরিস্থিতির উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, তা আশা করা যায়। 

Latest Videos

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় সাম্প্রদায়িক হিংসায় সাংবাদিক, পুলিশ ও সাধারণ মানুষসহ কমপক্ষে তিনজন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যখন বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করছিল, তখন এই ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

গত দুদিনে বাংলাদেশে একাধিক প্যান্ডেলে চলেছে দুষ্কৃতী তান্ডব। দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল এবং প্রতিমার ওপর হামলার একাধিক ঘটনার খবর মিলেছে বাংলাদেশ থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের অন্তত তিনটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। হামলায় মারা গিয়েছেন তিনজন। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সেদেশের হিন্দু কাউন্সিল। নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলেই। 

কুমিল্লার নানুয়া দীঘিতে সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। সেখানে একটি দুর্গা পুজো প্যান্ডেলে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। দেবী দুর্গার পাদদেশে পবিত্র কোরান রাখা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই হামলা চলে। জানা যায় প্রতিমাটি একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। কোরান রাখার খবর ছড়ায় হোয়াটসঅ্যাপ। উস্কানিমূলক মন্তব্য ও ছবি শেয়ার হতে থাকে। এরপরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। 

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির এবং দেবীমূর্তির ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে পরিষদের দাবি অবিলম্বে বাংলাদেশী হিন্দুদের ওপর আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে শেখ হাসিনা সরকারকে। এরই সঙ্গে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে ভিএইচপি। 

ভিএইচপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মিলিন্দ পরান্দে বলেছেন, রাতের অন্ধকারে, চট্টগ্রাম ডিভিশনের কুমিল্লা এলাকায় একটি দুর্গাপূজা প্যান্ডেলে যেভাবে হামলা চলেছে, তা ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হামলাকারীরা বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজার প্যান্ডেলগুলি ছিঁড়ে ফেলে ও এতে হিন্দু সমাজের ধর্মীয় ভাবাবেগ ধাক্কা খায়। এই ঘটনা বরদাস্ত করা সম্ভব নয়। 

Share this article
click me!

Latest Videos

হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
Naihati-তে কার পাল্লা ভারী? ফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা এলাকায় | Naihati By Election Results
ট্যাব কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে শিক্ষকদের জোরদার বিক্ষোভ! দাবি সঠিক তদন্তের! | Bengal Tab Scam
'কয়লার ৭৫ ভাগ তৃণমূলের (TMC) পকেটে যায়' বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
Bear Rescue Operation | বরফের মধ্যে ভাল্লুকের প্রান বাঁচাল ভারতীয় সেনা, দেখুন দুঃসাহসিক ভিডিও