খালিস্তানি জঙ্গিরা কানাডায় লুকিয়ে, মাথাচাড়া দিতে পারে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ-রিপোর্ট গোয়েন্দাদের

কূটনৈতিকদের দাবি জাস্টিন ট্রুডো ভারতবিরোধী খালিস্তানিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য তিনি খালিস্তানিদের খুশি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারতে অনেক অপরাধী কানাডায় লুকিয়ে আছে।

Parna Sengupta | Published : Sep 25, 2023 6:14 AM IST

কানাডা ভারত বিরোধী আন্দোলনের জন্য নিরাপদ ভূমি হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় গোয়েন্দারা কানাডায় বসবাসকারী খালিস্তানি গোষ্ঠীর বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের রিপোর্ট বলছে ২০১৪ সালের পর যখন নিরাপত্তা সংস্থাগুলি কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে খালিস্তানি জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছিল, তখন কোনও রকম সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ। কানাডার আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন এমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেই যা এই ধরনের তথ্য অন্য দেশের হাতে তুলে দিতে পারে।

এফবিআই-আরসিএমপি প্রোটোকল অনুসারে, ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ২০২০ সালে আরসিএমপির সাথে একটি এমওইউ স্বাক্ষর করেছিল, তার পরেও কিছুই পরিবর্তন হয়নি। কূটনৈতিকদের দাবি জাস্টিন ট্রুডো ভারতবিরোধী খালিস্তানিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য তিনি খালিস্তানিদের খুশি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারতে অনেক অপরাধী কানাডায় লুকিয়ে আছে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বারবার প্রকাশ করেছে যে কানাডায় অনেক খালিস্তানি জঙ্গি নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাও কানাডা সরকারের কাছে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ডসিয়ার হস্তান্তর করেছিল যেখানে আন্তর্জাতিক শিখ যুব ফেডারেশন (আইএসওয়াইএফ) এবং খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স (কেএলএফ) এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের উল্লেখ করা হয়েছে। এরা সবাই কানাডার নাগরিক বা ভারত থেকে পালিয়ে কানাডায় পৌঁছেছেন এমন মানুষ।

কানাডা কোন খালিস্তানিদের আশ্রয় দিয়েছে?

গুরজিৎ সিং চিমা

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক গুরজিত সিং চিমা ভারতে খুঁজছেন। এই ৫০ বছর বয়সী একজন আইএসওয়াইএফ/কেএলএফ সদস্য। এটি সক্রিয়ভাবে টরন্টোতে 'সিং খালসা সেবা ক্লাব'-এর সাথে যুক্ত। গুরজিৎ সিং চিমা বর্তমানে অন্টারিওর ব্রাম্পটনে থাকেন। চিমা পেশায় একজন ট্রাক চালক এবং তার পরিবহন ব্যবসা রয়েছে।

এদিকে, ভারতের ওপর কানাডার আনা অভিযোগ, নয়াদিল্লির জন্য নয়, কানাডার জন্যই বেশি বিপজ্জনক। এমনই দাবি করেছেন পেন্টাগনের প্রাক্তন আধিকারিক মাইকেল রাবিন। তাঁর দাবি যদি কোনওদিন নয়াদিল্লি ও অটোয়ারর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিতে হয়, তবে অবশ্যই তাঁরা ভারতকে বেছে নেবেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারতের বন্ধু ও তাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কৌশলগত ও কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত কানাডার চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেশি ওজনদার।

Share this article
click me!