মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুলেটিন অব দ্যা অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী পাকিস্তান ওয়ারহেড, ডেলিভারি সিস্টেমসহ বিস্ফোরক উৎপাদন ব্যবসার পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্রাগার বিকাশ অব্যাহত রেখেছে।
পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভারের (nuclear weapons) দৌড়ে ভারতকে (India) পিছনে ফেলে দিয়েছে দুই প্রধান প্রতিপক্ষ চিন (China) আর পাকিস্তান (Pakistan)। দুটি দেশেই ধীরে ধীরে পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকায় সামনের দিকে চলে যাচ্ছে। তবে এই অবস্থায় দাঁড়িয়েও প্রতিপক্ষের মোকাবিলায় ভারত যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।- সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুলেটিন অব দ্যা অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টের একটি রিপোর্টে তেমনই দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি রিপোর্ট বলা হয়েছে ভারত প্রতিরক্ষায় শক্তি বাড়াতে অগ্নি-৫ (Agni-5) ও পারমাণবিক সাবমেরিন চালু করতে অনেক বেশি আগ্রহী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুলেটিন অব দ্যা অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী পাকিস্তান ওয়ারহেড, ডেলিভারি সিস্টেমসহ বিস্ফোরক উৎপাদন ব্যবসার পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্রাগার বিকাশ অব্যাহত রেখেছে। তবে প্রতিরক্ষাখাতে পাকিস্তানকেও টেক্কা দিচ্ছে চিন। মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে চিন, ভারত, পাকিস্তান -দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশই ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল আর পারমাণবিক সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। যা সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
Nuclear Weapons: দ্রুত পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, আমেরিকার 'মনগড়া গল্প' বলে ওড়াল বেজিং
মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৭ সালের মধ্যে চিনের হাতে ৭০০টি সরবরাহযোগ্য পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকতে পারে। আর ২০৩০ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হবে এক হাজার। পেন্টাগন মাত্র এক বছর আগেই চিনকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছিল। তবে মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বেজিং পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়ালেই অপ্রীতিকর পরমাণু হামলা চালাতে এখনও রাজি নয়। পরমাণু হামলার সম্পূর্ণ বিরোধী বেজিং।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পাকিস্তান কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বাধা কমিয়েছে। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভার নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। এই অবস্থায় পাকিস্তন রণকৌশল বদল করায় ভারতের আপত্তা জানানোন জায়গা অনেকটাই কমে গেছে।
Covaxin: শিশুদের কোভ্যাক্সিন নিয়ে জরুরি বার্তা সৌম্যা স্বামীনাথনের, হু-র অনুমোদনে ভারতকে শুভেচ্ছা
মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে আনুমানিক ১৩,০৮০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড গোটা বিশ্বে রয়েছে। যারমধ্যে ৯০ শতাংশই রয়েছে রাশিয়া আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। সামরিক পরিষেবায় ৯৬০০টি ওয়ারহেড রয়েছে। বাকিগুলি নিরস্ত্রীকরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ সদস্য গ্রুপ দ্যা আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের মতে পাকিস্তানের কাছে এখনও পর্যন্ত ১৬৫টি ওয়ারহেড রয়েছে। যা পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার পাশাপশি রীতিমত শক্তিশালী করেছে। পাকিস্তানের অস্ত্রের এই পরিসংখ্যন ভারতের কাছে রীতিমত উদ্বেগের। কারণ পাকিস্তান রীতিমত আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে। যারমধ্যে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান সবকিছুই রয়েছে। কৌশলগুত স্তরের নিচে সামরিক হুমকি মোকাবিলায় স্বপ্ন পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্রও রয়েছে পাকিস্তানের হাতে। চিনের হাতেই এমন পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যা চুক্তির অধীনে নয়।