সংক্ষিপ্ত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অর্থ হল ভারতের তৈরি এই করোনা টিকা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে স্বীকৃতি পাবে। যেসব ভারতীয়রা কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য আর বিশ্বের অন্যান্য দেশের দরজা বন্ধ থাকবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বুধবার ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি কোভ্যাক্সিনকে (Covaxin) জরুরি ব্যবাহের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। তারপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan) ভারতকে স্বাগত জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি লিখেছেন করোনাভাইরাসের এই মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও একটি টিকা পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেছেন ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে এই টিকা তৈরি করেছে। টিকা কর্মসূচিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে, বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বৈদ্যুতিন সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সৌমা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র পেতে বেশি সময় লাগবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহারের তালিকা হল নতুন বা লাইসেন্স বিহীন ও জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন পণ্যগুলি মূল্যয়ন ও তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই জরুরি ব্যবহারের জন্য একাধিক করোনা টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Diwali in Ayodhya: সরযূর তীরে আলোর মেলা, লক্ষ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করল রামনগরী অযোধ্যা
Covaxin: কোভ্যাক্সিনকে কেন অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কী বলছে ভারত বায়োটেক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অর্থ হল ভারতের তৈরি এই করোনা টিকা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে স্বীকৃতি পাবে। যেসব ভারতীয়রা কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য আর বিশ্বের অন্যান্য দেশের দরজা বন্ধ থাকবে না। যেকোনও দেশ ভ্রমণের সুবিধে তারা পাবে।
এদিন সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন পেতে মোটেও বেশি সময় লাগেনি ভারত বায়োটেকের। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল চিনসহ অন্যান্য টিকাগুলিতে দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিতে দেরি করছে। সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন দীর্ঘিদিন ধরেই বিশ্বসংস্থার কাছে অনুমোদনের আবেদন জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। কিন্তু এখনও আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে।
পাল্টা সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন যেকোনও ভ্যাক্সিনের অনুমোদন পেতে ৫০-৬০ দিন সময় লাগে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৬৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তিনি জানিয়েছেন, চিনের তৈরি সিনোফার্মা ও সিনোভাক টিকাকে অনুমোদন দিতে ১৫০-১৬৫ দিন লেগেছিল। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ৯০-১০০ দিন সময় লেগেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন আরও ১৩টি টিকা রয়েছে যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
সৌম্যা স্বামীনাথন আরও বলেছেন কোভ্যাক্সিন গর্ভাবতী মহিলাদের জন্য কতটা নিরাপদ তার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ভারত অনেক গর্ভাবতী মহিলাকে ইতিমধ্যেই এই টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য ও প্রভাবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।