সংক্ষিপ্ত

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৭ সালের মধ্যে চিনের হাতে ৭০০টি সরবরাহযোগ্য পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকতে পারে। আর ২০৩০ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হবে এক হাজার। 

দ্রুত পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়াচ্ছে চিন (China)। সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) এই প্রতিবেদনে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে গেছে বেজিং। গোটা বিষয়টিকে মনগড়া আখ্যা দিয়েছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি।  বৃহস্পতিবার চিনা সরকার বলেছে গোটা বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনগড়া গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশ্বের কাছে চিনকে অস্বস্তিতে ফেলতেই এজাতীয় প্রচার  করছে পেন্টাগন (Pentagon)। পেন্টাগনের দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে চিনের। যেভাবে চিন অস্ত্রের সম্ভার বাড়াচ্ছে তাতে আগামী দিনে এই ব্যবধান আরও কমে যাবে। 

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৭ সালের মধ্যে চিনের হাতে ৭০০টি সরবরাহযোগ্য পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকতে পারে। আর ২০৩০ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হবে এক হাজার। পেন্টাগন মাত্র এক বছর আগেই চিনকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছিল। তবে মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বেজিং পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়ালেই অপ্রীতিকর পরমাণু হামলা চালাতে এখনও রাজি নয়। পরমাণু হামলার সম্পূর্ণ বিরোধী বেজিং। 

Narendra Modi Celebrates Diwali:সেনারাই দেশের সুরক্ষা কবচ, দীপাবলিতে নওশেরা সেক্টরে প্রধানমন্ত্রী মোদী

পাল্টা চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আগেও মার্কিন একটি প্রতিবেদনে এজাতীয় মনগড়া গল্প বলা হয়েছিল। সেই সময়ও চিন নিজের দেশের অস্ত্র সম্ভার সম্পর্কে মার্কিন প্রতিবেদনকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তাই এবারও মার্কিন মনগড়া রিপোর্টে তারা গুরুত্ব দেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন ওয়াশিংটন চিনের পারবাণবিক অস্ত্র নিয়ে কথা বলছে কিন্তু মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের সবথেকে বড় পারমাণবিক শক্তির উৎস। 

Prashant Kishore: পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন চ্যালেঞ্জের, তাই কি প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রী

চিনের সামরিক অগ্রগতি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে পেন্টাগনের বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেখানেই বেজিংএর অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে মন্তব্য করে মার্কিন প্রশাসন। সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে আলোচনার সঙ্গে পেন্টাগন মার্কিন অস্ত্রভণ্ডারের একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সূত্রের খরব সেই প্রতিবেদনের সঙ্গেও চিনের অস্ত্র সম্ভারের রিপোর্ট মেলানো হয়েছে। 

Covaxin: শিশুদের কোভ্যাক্সিন নিয়ে জরুরি বার্তা সৌম্যা স্বামীনাথনের, হু-র অনুমোদনে ভারতকে শুভেচ্ছা

তবে চিনের অস্ত্র সম্ভার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্ট যদি সত্যি হয় তাহলে তা ভারতের কাছে রীতিমত হুমকির সামিল বলেও মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। কারণ গত বছর থেকে লাদাখসহ একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকাকে টার্গেট করেছে চিন। লাদাখ থেকে এখনও পর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে হয়েছে চিনকে। কিন্তু তারপরই লাল ফৌজের নজর সরেনি পূর্ব লাদাখ সেক্টর থেকে। পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন একাকেই চিনা শক্তি বাড়াচ্ছে। বাড়িয়েছে সেনা মোতায়েন। বাড়ান অস্ত্রের সম্ভার। ভারত অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে দেশের নিরাপত্তা আর আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব সর্বদাই গুরুত্ব পাবে। 

YouTube video player