কানাডার পর এবার কি ব্রিটেন? ভারতের কূটনীতিককে হেনস্থার তীব্র সমালোচনা বিদেশমন্ত্রকের

ব্রিটেনে নিয়ুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী স্কটল্যান্ড সফরে রয়েছেন। সেখানেই তাঁকে একটি গুরুদারে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।

 

Saborni Mitra | Published : Sep 30, 2023 1:57 PM IST

স্কটল্যান্ডের গুরদারে ভারতের হাইকমিশনার ও কনসাল জেনারেলকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। গোটা ঘটনাটিকেই ' অসম্মানজনক' বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্রিটেন সরকারের পাশাপাশি পুলিশের কাছেও এই ঘটনার নালিশ করেছে ভারত।

ব্রিটেনে নিয়ুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী স্কটল্যান্ড সফরে রয়েছেন। সেখানেই তাঁকে একটি গুরুদারে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তিনি ঘটনার কোনও প্রতিবাদ না জানিয়ে কোনও বিরোধিতা না করেই সেখান থেকে ফিরে আসেন। শিখ ইয়ুথ ইউকে নামের এক ব্যবহারকারীর ইনস্টাগ্রাম চ্য়ানেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর তথ্য অনুসারে একজন ব্যক্তি যিনি খালিস্তানি কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি দোরাইস্বামীকে অ্যালবার্ট ড্রাইভে অবস্থিত গ্লাসগো গুরুদারে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। ভিডিও অনুসারে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে প্রতিবাদকারী হিসেবে দাবি করেছে। সেই ব্যক্তি আরও বলেছেন, কানাডা ও অন্যান্য জায়গায় শিখরা আক্রান্ত। প্রতিটি শিখের উচিৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। সেই ব্যক্তি তার নিজের প্রতিবাদকে একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পার্কিন এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের গাড়ির কাছে দুই ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজন গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করেছে। গাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। তারপরই হাইকমিশনারের গাড়ি গুরুদার ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।

ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গেছে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের সরকারি ক্ষমতা প্রয়োগ করে গুরুদারে প্রবেশের ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, 'ভারতের কী গেমপ্ল্যান রয়েছে তা আমরা জানি। কানায় কী হয়েছে সেটাও জানা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভারতের নিন্দা করেছে। ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে।'

খালিস্তানি জঙ্গে হরদীপ সিং নিজ্জারের মৃত্যু নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশই বাড়ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রু়ডো অভিযোগ করেছেন হরদীপ সিং-এর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে। তাই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিবাদ অব্যাহত। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেনে হাইকমিশনারকে গুরুদারে ঢুকতে দেওয়া হল না। যা নিয়ে আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে চাপ ক্রমশই বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Share this article
click me!