চীনের সঙ্গে টক্কর দিতেই এবার নতুন তাগিদ ভারতের। সীমান্তের পাহারা আরও জোরদার করতে এবার দক্ষিণ লাদাখের নয়োমা গ্রামে বিমান অবতরণ ক্ষেত্র নির্মাণ করতে চলেছে ভারত।
চীনের সঙ্গে টক্কর দিতেই এবার নতুন তাগিদ ভারতের। সীমান্তের পাহারা আরও জোরদার করতে এবার দক্ষিণ লাদাখের নয়োমা গ্রামে বিমান অবতরণ ক্ষেত্র নির্মাণ করতে চলেছে ভারত। বায়ুসেনা সূত্রে খবর নতুন এই অবতরণ ক্ষেত্রটি বিশেষত অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার ওঠানামা করার জন্য ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাদের জন্য রসদ পৌঁছে দেবার উদেশ্যেও ব্যবহৃত হবে এই ক্ষেত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, যে জায়গায় অবতরণ ক্ষেত্রটি নির্মানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেটি পূর্ব লাদাখের থেকেও মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে। অর্থাৎ সীমান্তবর্তী সমস্ত এলাকাগুলি থেকেই এই অঞ্চলে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে বলেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির কেন্দ্র হিসাবে এটি নির্মাণ কপিরা হচ্ছে। লাদাখ সীমান্তের এই নিশ্ছিদ্র প্রতিরক্ষার খবর প্রকাশ পেতেই ফের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতীয়রা।
যুদ্ধবিমান অবতরণ করানো এবং দ্রুত সীমান্তে তাঁদের পাঠানোর জন্যই এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বায়ুসেনার পক্ষ থেকে । এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি মিললে অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি করবে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। বায়ুসেনা সূত্রের খবর, এই বিমানঘাঁটি থেকে অতি তৎপরতার সঙ্গে দ্রুত শক্তিশালী হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান পাঠানো যাবে। এর ফলে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে অতি দ্রুত তা সামাল দেওয়া যাবে।
পূর্ব লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি, নায়োমা প্রভৃতি জায়গাগুলি এমনিতেও ভারতের কাছে কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক অতীতে বারংবার সীমান্তে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুই দেশের সেনার মধ্যে। ভারত অভিযোগ করেছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে আসছে চিনের সেনা। আপাতত চিন পশ্চাদপসরণ করলেও বায়ুসেনার দাবি, সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ পরিকাঠামো তৈরির কাজ থামায়নি চিন। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই নিজেদের সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখতে চাইছে ভারত।
আরও পড়ুনঃ
ওয়ার্মারে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু, দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নার্সকে বরখাস্ত করল হাসপাতাল
পাকিস্তানে গোপন সাইবার-বাহিনী তুরস্কের মদতে, নেতৃত্বে রয়েছে কুখ্যাত টার্কির মন্ত্রী সোয়লু
কোয়েম্বাটোর গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ক্রমশই জটিল হচ্ছে , তদন্তের দায়িত্ব নিল এনআইএ