স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। পিটিআই-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের থানের এক মৎসজীবী এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
আবারও পাকিস্তানের (Pakistan) অমানবিক আচরণের শিকার হল ভারতকে (India)। পাকিস্তানের নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর গুলিয়ে নিহত হয়েছে এক ভারতীয় মৎজীবী (Indian Fisherman)। এই ঘটনায় আগত হয়েছে আরও এক জন। গুজরাট উপকূলে আরব সাগরের আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমারেখার কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর পাকিস্তানের মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি (PMSA) ভারতীয় মৎসজীবীদের নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। আহত মৎজীবীর চিকিৎসা চলছে গুজরাটের ওখার একটি হাসপাতালে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। পিটিআই-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের থানের এক মৎসজীবী এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন। যে নৌকাটি লক্ষ্যে করে পাকিস্থানের নিরাপত্তা রক্ষীরা গুলি চালিয়েছিল সেটির নাম জলপরী। নৌকাটি গত ২৫ অক্টোবর গুজরাটের ওখার থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈকিতভাবেই সমস্যা সমসাধার করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে আরব সাগরের ১২ নটিক্যাল মাইল অতিক্রমের ঘটনাগুলির জন্য গুজরাটের পোরবন্দরের নভি বন্দর পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার ৩২ বছরের মৎসজীবী শ্রীধর রমেশের দেহ ওখা বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্ত হয়ে গেলে দেহ তুলে দেওয়া হবে মৃতের পরিবারের হাতে।
BJP Executive Meeting: বিজেপি কেন ক্ষমতায়, কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে দলীয় বৈঠকে কারণ জানালেন মোদী
ভারতের বিবৃতিঃ
মৎসজীবীদের নৌকা লক্ষ্য করে পাক নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলি করার ঘটনায় একটি বিবৃতি জারি করেছে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী। বলা হয়েছে বর্তমানে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। তবে যৌথভাবে তারাও জলপরী নৌকার মৎসজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই বিস্তারিত জানান হবে। সরকারি সূত্রের খবর ভারত প্রায় নিশ্চিত যে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় মাছ ধরার নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। গোটা ঘটনাটিকে গুরুতর বলা হয়েছে।
ITBP: চিন সীমান্তে আরও শক্তি বাড়াতে তৎপর ভারত, হিমালয়ে রাস্তা তৈরির দায়িত্বে আইটিবিপি
পাকিস্তানের বিবৃতিঃ
ভারতের পাল্টা একটা বিবৃতি জারি করেছে পাকিস্তানও।পাকিস্তানের দাবি অবৈধভাবে ভারতের মাছ ধরা নৌকাটি পাকিস্তানের আঞ্চলিক জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের দাবি দেশের মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি নৌকাটিকে সতর্ক করেছিল। কিন্তু নৌকার যাত্রীরা সেদিকে কান দেয়নি। পাকিস্তান মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সি নৌকাটিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নৌকাটি তারপরেই গতিপথ পরিবর্তন করেনি। পাশাপাশি পাকিস্তান যখন নৌকার আশপাশে গুলি চালিয়েছে তখন নৌকার ইঞ্জিনও বন্ধ করা হয়নি। তারপরি পাক নিরাপত্তা বাহিনী সরাসরি নৌকায় গুলি চালায়। পাকিস্তানের দাবি নৌকার ৬ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ৬জনই সমুদ্রপথে চোরাচালান ও অস্ত্র পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান ৬ ভারতীয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।