ভারতের বিদেশমন্ত্রীর আরও দাবি, এই ধরনের শিল্পপতিরা জনমত তৈরি করার জন্য অর্থ বিনিয়োগ করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রায়শই নিশানা করে থাকেন হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিল্পপতি জর্জ সোরস। সম্প্রতি তিনি আদানি-বিতর্ক নিয়ে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, তাঁর পর এ বার কড়া ভাষায় শিল্পপতিকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী ক্রিস ব্রাউনের সঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন এস. জয়শঙ্কর, সেখানেই তিনি বলেন, “মিস্টার সোরস একটা বুড়ো, সমৃদ্ধিশালী, মতামতসম্পন্ন ব্যক্তি। উনি মনে করেন যে, ওনার কথা মতোই এই পৃথিবীটা চলবে। এই ধরনের শিল্পপতিরা আসলে জনমত তৈরি করার জন্য অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন।”
আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গোষ্ঠী একটি রিপোর্ট বের করেছে যে, ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির সংস্থা কারচুপি করে নিজেদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গেই আমেরিকার শিল্পপতি জর্জ সোরস বলেছেন, “আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে যে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং ভারতের সংসদে জবাবদিহি করতে হবে।’’ জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৯২ বছর বয়সি সোরস প্রশ্ন করেন, আদানি গোষ্ঠীর এই কারচুপির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী কেন এখনও পর্যন্ত চুপ করে রয়েছেন? ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এই পরিস্থিতি মোটেই কাম্য নয়।
সোরসের মন্তব্যের পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, আদানি কাণ্ড নিয়ে মোদীর উত্তর চেয়ে ‘ভারত বিরোধী কাজ’ করেছেন আমেরিকার প্রবীণ শিল্পপতি। তিনি আরও বলেন, “আমি প্রত্যেক ভারতীয়কে জর্জ সোরোসকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।” তাঁর পরে এবার এই শিল্পপতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে বেনজির আক্রমণ হানলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আরও পড়ুন-
লিথিয়াম আবিষ্কার হলেও কি হাল ফিরবে জম্মু-কাশ্মীরের সালাল গ্রামের মানুষদের? চাকরি না পেয়ে হতাশ শিক্ষিত যুবকরা
দুর্ঘটনার কবলে বাম যুবনেতা শতরূপ ঘোষের গাড়ি, ধাক্কা মারার পর শতরূপের পরিবারের সঙ্গেও অভব্য ব্যবহার চালকের
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ব-শিক্ষক হয়ে কীভাবে গ্রামের অন্দরে প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন বাগদার ‘সৎ’ রঞ্জন? তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই