ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র নৌবাহিনীর অনেক ডেস্ট্রয়ারে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে, নৌবাহিনীর নীলগিরি, শিবালিক এবং তালওয়ার শ্রেণীর ফ্রিগেটেও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রয়েছে।
দেশের সীমান্ত তাঁদের হাতে সুরক্ষিত। দেশকে রক্ষা করতে সবরকম ভাবে সদা সতর্ক ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারাই আজ দাপিয়ে বেড়াল বঙ্গোপসাগরের জলে। তাই বুধবার ব্রহ্মোস মিসাইল এদিন আকাশ চিরে ছুটল। ফের প্রমাণ করল ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি। এদিন ব্রহ্মোসের সফল পরীক্ষা করেছে ভারতীয় নৌসেনা।
নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরে ব্রহ্মোস নিক্ষেপ করেছে আজ বুধবার, ১ নভেম্বর। উল্লেখ্য, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র নৌবাহিনীর অনেক ডেস্ট্রয়ারে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে, নৌবাহিনীর নীলগিরি, শিবালিক এবং তালওয়ার শ্রেণীর ফ্রিগেটেও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রহ্মোস কী এবং এর থেকে দেশ কীভাবে নিরাপত্তা পাবে?
ব্রহ্মোস কি জানেন?
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রহ্মোস বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে তৈরি করেছে। ব্রহ্মপুত্র ও মাসকাভা নদীর নাম মিলিয়ে এর নাম রাখা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র জল, ভূমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, জাহাজটি দেশীয় ইস্পাত DMR 249A থেকে তৈরি করা হয়েছে। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র। এর মোট দৈর্ঘ্য ১৬৪ মিটার এবং স্থানচ্যুতি ক্ষমতা ৭৫০০ টনের বেশি। জাহাজটি একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম যা সামুদ্রিক যুদ্ধের সময় পুরো কমান্ড নিজের হাতে নিতে পারে।
সম্প্রতি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার সহ তৃতীয় স্টিলথ ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২০ অক্টোবর শুক্রবার হস্তান্তর করা এই যুদ্ধজাহাজটি সারফেস টু সারফেস সুপারসনিক 'ব্রহ্মোস' মিসাইল এবং মাঝারি পাল্লার সারফেস টু এয়ার 'বরাক-8' মিসাইল দিয়ে সজ্জিত। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত, এই যুদ্ধজাহাজে দেশীয়ভাবে তৈরি অ্যান্টি-সাবমেরিন অস্ত্র এবং সেন্সর, প্রধানত হাল মাউন্টেড সোনার হুমসা এনজি, ভারী ওজনের টর্পেডো টিউব লঞ্চার এবং ডুবো যুদ্ধের জন্য রকেট লঞ্চার লাগানো হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।