পাকিস্তানের পাখির চোখ হয়ে রয়েছে কাশ্মীর। আফগান মাটিকেই আল কায়দাকে নিয়ে কাশ্মীর নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ নতুন দিল্লির।
নির্ধারিত সময়ের আগেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে আমেরিকা থেকে। তারপরই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়দা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। 'বিশ্বের যেসব জায়গায় ইসলামি ভূখণ্ড অন্যের দখলে রেয়েছ সেগুলি মুক্ত করা হবে' বলে বিবৃতিতে জানান হয়েছে। পাশাপাশি এই কারণে বিশ্বজুড়ে জিহাদের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রথমে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল পরে তাতে রদবদল করা হয়। সেই বিবৃতিতে রাশিয়া হাতে থাকে চেচনিয়া আর চিনের হাতে জিনজিয়ান প্রদেশের নাম বাদ দেওয়া হয়ে। কিন্তু নতুন করে ভারতের কাশ্মীরের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক কর্তা বলেছেন,তালিবানদের এজেন্ডায় আগে কখনও ভারত বা কাশ্মীর ইস্যু ছিল না। পাকিস্তান অথবা পাক গুপ্তচর সংস্থা ISIর হাত রয়েছে এই বিবৃতির পিছনে। জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি তৈরি করতেই পাকিস্তান পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর মতে আল- কায়দার এই বিবৃতির পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর ই তৈবা আর জইশ ই মহম্মদকে আরও উৎসাহিত করবে ভারতে হামলার জন্য। এক উর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন আল কায়দার বিবৃতি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কিন্তু এটি ভারতের জন্য খুবই উদ্বেগের। আল কায়দা বিশ্বের মুসলমানদের কট্টরপন্থী করার চেষ্টা করছে। তাই মানবতার জন্য এটি বিপজ্জনক। পাকিস্তান আল কায়দাকে চূড়ান্ত মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বালিকা বধূর ওপর একোন অভিশাপ, চার বছরের ব্যবধানে প্রয়াত সিরিয়ালের জনপ্রিয় দুই অভিনেতা
দূর্গাপুজো - দীপাবলি, করোনাকালে কেমন করে কাটাবেন উৎসবের মরসুম, টিপস দিল স্বাস্থ্য় মন্ত্রক
সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে সম্পূর্ণ মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। তার প্রমাণ আগেই পেয়েছে ভারত। তবে বর্তমানে পাকিস্তান আল - কায়দার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে তালিবান সুপ্রিমো হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এখনও পাকিস্তানের সেনা বাহিনী বা গোয়েন্দাদের হেফাজতে রয়েছে বলেও জানা গেছে। যদিও তালিবানরা এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি।
ভারতীয় মুসলমানদের কড়া সমালোচনা নাসিরুদ্দিনের, তালিবান ইস্যুতে সতর্ক করলেন অভিনেতা
শুক্রবার নামাজের পরে সরকার গঠন, কাঁটা বিছান পথেই আফগানিস্তানের মসনদে তালিবানরা
আল কায়দার বিবৃতিতে বলা হয়েছে লেভান্ট, সোমালিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীরকে ইসলামের শত্রুদের হাত মুক্ত করতে হবে। মুসলমানদের মুক্তির জন্যও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে। তালিবানরা কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বলে আসছে আফগানিস্তানের মাটিকে অন্যদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে তারা দেবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য ছবি। গত কয়েকদিন ধরেই হরকত-উল-আনসার সেখানে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের বিষয়ে রীতিমত তৎপর। জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তানকেও আফগান মাটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইরানে আশ্রয় পাচ্ছেন আল - কায়দা জঙ্গিরা। কিন্তু ইকাব শিয়া প্রধান দেশ। আর আল কায়দা বা তালিবানরা মূলত সুন্নি গোষ্ঠীভুক্ত। তাই প্রশ্ন উঠছে ইরান কেন মদত দিচ্ছে। সেদিকটি খতিয়ে দেখে এক আধিকারিক জানিয়েছেন ইতিাসে দেখা গেছে কৌশলগত ক্ষেত্র শিয়া আর সুন্নারা এক হয়ে যায়। অন্যের বিরুদ্ধে আক্রমণের সময় নিজেদের দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রাখে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।