খুঁজে খুঁজে জঙ্গিদের বের করে এনকাউন্টার চালাল ভারতীয় সেনা। খতম এক জঙ্গি।
বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর। সাত সকালে গুলির লড়াইয়ে ঘুম ভাঙল উপত্যকার। খুঁজে খুঁজে জঙ্গিদের বের করে এনকাউন্টার ( encounter) চালাল ভারতীয় সেনা (security forces)। খতম এক জঙ্গি (One terrorist killed)। এদিন সকালে এনকাউন্টার শুরু হয় দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার চিত্রাগ্রামে। একাধিক জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় ভারতীয় সেনা।
এনকাউন্টার শুরু হওয়ার পরেই টুইট করে কাশ্মীর জোন পুলিশ। গোটা পরিস্থিতির তথ্য জানায়।
এদিন ভারতীয় সেনার সঙ্গে এনকাউন্টারে সামিল ছিল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ। যৌথ বাহিনীর দাপটে কোণঠাসা ছিল জঙ্গিরা। গুলির লড়াই শুরু হতেই পালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তবে একজন জঙ্গি নিকেশ হওয়ার খবর মেলে।
আরও পড়ুন - তালিবানদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি, নির্লজ্জ পাকিস্তানের জেদে বাতিল সার্ক সম্মেলন
গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তল্লাশি শুরু করে যৌথ বাহিনী। গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে সেনা। শুরু হয় এনকাউন্টার। জঙ্গিরা সেনার উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে, ওই এলাকায় আরও দুই তিনজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে। অপারেশন শেষ হলে তবেই বলা যাবে যে কতজন জঙ্গিকে নিকেশ করতে পারল সেনা।
এদিকে, কিছুদিন আগেই গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী গত এক মাসে কমপক্ষে ৬টি সন্ত্রাসবাদী দল জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করেছে। জঙ্গিদের টার্গেটে রয়েছে এদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানিয়েছেন প্রায় ২৫-৩০ জন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে এইদেশে প্রবেশ করেছে। আগে থেকেই উপত্যকায় বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করছিল। তাদের সঙ্গে নতুন অনুপ্রবেশকারী প্রায় ৩০ জন জঙ্গি হাত মেলাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - নজরে আফগানিস্তান-সন্ত্রাসবাদ, ভারতের বার্তা তুলে ধরতে বিদেশ সফর শুরু নরেন্দ্র মোদীর
রিপোর্টে বলা হয়েছে গত মাস থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত গুলির লড়াই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। পাক সেনা বাহিনী একাধিকবার সীমান্ত চুক্তি অগ্রাহ্য করে গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি গত এক মাসে উপত্যাকায় প্রায় প্রতিদিনই নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছে।