জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন আসন্ন। আগামী নির্বাচনে স্থানীয় বা ভূমিপুত্র ছাড়াও উপত্যকায় বসবাসকারী মানুষও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। বুধবার নির্বাচন কমিশনে একথা জানিয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন আসন্ন। আগামী নির্বাচনে স্থানীয় বা ভূমিপুত্র ছাড়াও উপত্যকায় বসবাসকারী মানুষও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। বুধবার নির্বাচন কমিশনে একথা জানিয়েছে। তারপর থেকেই নতুন করে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন। কমিশন সূত্রের খবর জন্মু ও কাশ্মীরে আগামী নির্বাচনে প্রায় ২৫ লক্ষ ভোটার ভোট দিতে পারেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তার আগেই বুধবার কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারির হৃদেশ কুমার জানিয়েছেন, সেখানে বসবাসকারী ভিন রাজ্যের মানুষও বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার পাবেন। এরফলে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। সেই তালিকায় ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম থাকবে। তিনি জানিয়েছেন ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন অ-সংশোধনীয়দের প্রথমবারের মত জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালেই জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হয়েছে। আর সেই কারণেই এই এলাকা রাজ্যের তকমা হারিয়েছে। পাশাপাশি উপত্যকায় বর্তমানে কাশ্মীরিদের পাশাপাশি অকাশ্মীরিদের জমির মালিকানা দেওয়ার অধিকার রয়েছে। সেইমত এবার অকাশ্মীরিরাও ভোটার হওয়ার সুবিধে পাচ্ছে।
এই ঘোষণার পরই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। ধীরে ধীরে উত্তাল হতে শুরু করে কাশ্মীরের পরিবেশ। জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি দুজনেই কমিশনের এই উদ্যোগকে অশুভ ও বিপজ্জনক বলে দাবি করেছেন। ওমর জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রকৃত ভোটাদের সমর্থন পাবে না জেনেই বিজেপি বাইরে থেকে ভোটার আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। মেহবুবা মুফতি বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে দীর্ঘ দিন ধরে ভোট স্থগিত রাখায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ফলে চাপ বাড়ছে বিজেপির ওপর। তাই ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করার জন্য বহিরাগতদের ভোট দানের অধিকার দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে শেষ বার অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়েছিল। সেই বিধানসভার মেয়াদ শেষের পর সাড়ে চার বছর পার হয়ে গেলেও ভোট হয়নি সেখানে। ২০১৯-এর অগস্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়েছে কেন্দ্র। চলতি বছরের মে মাসে জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল।
পাল্টা সম্পত্তি মামলা, ১৭ বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে মামলায় নাম রয়েছে ২ তৃণমূল সাংসদেরও