সংক্ষিপ্ত

পাল্টা হিসেবে রাজ্যের ১৭ জন বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি নেতার মামলা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল এক ব্যক্তি। যেদিন যে ১৭ জনের আয়ের সঙ্গে সংগতি বিহীন সম্পত্তি রয়েছে দাবি করা হয়েছে তারা অধিকাংশই বিজেপির সাংসদ বা বিধায়ক।

সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় এবার অন্য চাল। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে আগেই কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনক্য বিপ্লব রায়চৌধুরী। এবার তার পাল্টা হিসেবে রাজ্যের ১৭ জন বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি নেতার মামলা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল এক ব্যক্তি। যেদিন যে ১৭ জনের আয়ের সঙ্গে সংগতি বিহীন সম্পত্তি রয়েছে দাবি করা হয়েছে তারা অধিকাংশই বিজেপির সাংসদ বা বিধায়ক। বাকিরা সকলেই বাম ও কংগ্রেসের নেতা। 

বিরোধীদের তালিকা-
এদিন বিরোধী দলের যেসব নেতা-সাংসদ - বিধায়কদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি মামলা দায়ের করা হল তাঁরা হলেন, লকেট চট্টোপাধ্য়া,, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, মনোজ কুমার ওঁরাও, আব্দুল মান্নান, মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পল, শমীক ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য, শীলভদ্র দত্ত, বিশঅবজিৎ সিনহা, অনুপম হাজরা, মহম্মদ সেলিম ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি।  তালিকায় রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী।

সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ-
হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি করা হয়েছে, ১৭ জনের সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৯৮২৪৯৯ শতাংশ। আয়ের সঙ্গে এই ১৭ জনের সম্পত্তি সংগতি বিহীন বলেও দাবি করা হয়েছে। আয়ের উৎস সন্ধানেরও আর্জি জানান হয়েছে। তবে সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ নিয়ে কিছুটা হলেও বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন ওয়াকিবহাল মহল। 

তৃণমূলের ১৯ নেতার বিরুদ্ধে মামলা-
আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ নেতার বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল । তারই সূত্র ধরে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।  আর্জিতে দাবি করা হেয়এছ ২০১১ সালের পর থেকে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি প্রায় ২০০স শতাংশ বেড়েছে। মামলায় নাম রয়েছে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায় ও জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের। 

তিন মন্ত্রীর আর্জি- 
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী । তাঁরা তিনজনেই সম্পত্তি মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন। যদিও তাঁরা আগেই এই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি না করার আবেদন জানিয়েছিলেন।