Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে বড় সাফল্যে নিরাপত্তা বাহিনীর, ২ পাক নাগরিকসহ ৬ জঙ্গি নিহত

কুলগ্রাম জেলার নওগামে অনন্তনাগ জেলার মিরহামা গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যাবেলায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে।

Web Desk - ANB | Published : Dec 30, 2021 3:00 AM IST

জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) পৃথক দুটি সংঘর্ষে পাকিস্তানের (Pakistan) দুই নাগরিকসহ ৬ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু (Terrorist Killed) হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে অনন্তনাগ ও কুলগাম জেলার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে জঙ্গিদের। সেইসয় গুলির লড়াইয়ের এই ৬ জনের মৃত্যু হয়। 


কুলগ্রাম জেলার নওগামে অনন্তনাগ জেলার মিরহামা গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যাবেলায় সংঘর্ষ শুরু হয়ে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন  জামাতের চার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন দুই জন জামাতের সদস্য। বাকি দুই জন পাকিস্তানি নাগরিক ও বাকি দুই জন স্থানীয়  জঙ্গি। এই অভিযানকেসফল অভিযান হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। 

জম্মু ও কাশ্মীর জোনের পুলিশের মহাপরিচালক বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নওগামে প্রথম এনকাউন্টার শুরু হয়। সেখানে জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলিতে এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে। সেখানেই এক পাকিস্তানি নাগরিকসহ ৬ সন্ত্রাসবাদী নিহত  হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন অনন্তনাগের এনকাউন্টারের পরই পুলিশ কুলগ্রামে এনকাউন্টার শুরু করে। মিরহামার এই অভিযানে খুব দ্রুত সাফল্য আসে। অল্পসময়ের মধ্যেই তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। তবে এখনও দুটি জেলায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। 


সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানও। জম্মু ও কাশ্মীর পুশিলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী  ভাট্টা ডুরিয়ানকে নিকেশ করেছিল। সেই সময় এনকাউন্টারেরও বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল জঙ্গলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সূত্রের খবর এই জঙ্গলের মধ্যেই একটা আস্তানা তৈরি করেছিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের ঘাঁটি চেনানোর জন্যই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়া পাক জঙ্গি জিয়া মুস্তাফাকে। লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য জিয়া। 


জিয়া যখন জঙ্গিদের আস্তানার কাছে পুলিশকে নিয়ে যায় তখন জঙ্গিরা তাকেই পাল্টা নিশানা করে।  জিয়ার সহকর্মী জঙ্গিরা  এদিন তাকে লক্ষ্য করেই গুলি ও বোমা ছোঁড়ে। এই ঘটনায় লস্কর ই তৈবার সদস্য জিয়া আহত হয়। সঙ্গে আহত হয় দুই পুলিশ কর্মী ও এক সেনা জওয়ান। পুলিশ জানিয়েছে জিয়াকেও উদ্ধার করা হয়েছিল। সে গুরুতর চোট পেয়েছিল। তারপর জঙ্গিরা আবারও জিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোঁড়ে। সেই সময় ওই এলাকায় আগুন লেগে যায়। প্রবল আগুনের কারণে জিয়াকে বের করে আনা যায়নি। ঘটনাস্থলেই লস্কর জঙ্গির মৃত্যু হয়।পরবর্তীকালে আবারও যৌথ বাহিনী শক্তি বৃদ্ধি করে আবারও জঙ্গি ঘাঁটির দিকে রওনা দেয়। এনকাউন্টার সাইট থেকে জিয়ার দেহ উদ্ধার করে। 

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন পাক অধিকৃত রাওয়ালকোটের বাসিন্দা মোস্তাফা জিয়া। গত ১৪ বছর ধরে কোট ভালওয়াল জেলে বন্দি ছিল। সম্প্রতী তদন্তে পুলিশ জানতে পারে জেলের ভিতর থেকেই জিয়া জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে। তার রিমান্ডে তারে মেনধরে নিয়ে আসা হয়েছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। এই এলাকা হাতের তালুর মতই চিনত জিয়া। এই এলাকা দিয়েই সে পাকিস্তানে পালিয়ে যেত। 

Hindu Rashtra: ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরির করার শপথ স্কুল পড়ুয়াদের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও
Covid-19: তবে কী মুম্বইয়ের হাত ধরেই ভারতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ শুরু, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে
Salman Khan: 'অটোওয়ালা ভাইজান', পানভেলের রাস্তায় সলমনকে অন্যভূমিকায় দেখে অবাক ভক্তরা

Share this article
click me!