গত সপ্তাহ থেকেই দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এখানে করোনা- পজিটিভিটি রেট ১.২৯ শতাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
করোনাভাইরাসের (Coronavirsu) দ্বিতীর তরঙ্গের সময় দেশের জাতীয় রাজধানীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছিল পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল মৃত্যুর সংখ্যা। এবারই সেই দিকেই চলেছে দিল্লির (Delhi) করোনা-পরিস্থিতিত। কারণ তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছের তথ্য পরিসংখ্যন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী দিল্লিতে বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা ৯২৩। যার মঙ্গলবারের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বেশি। গত ৩০ মে-র পর এদিনই দিল্লিতে দৈনিক কোভিড-১৯ (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি।
গত সপ্তাহ থেকেই দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এখানে করোনা- পজিটিভিটি রেট ১.২৯ শতাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বিধিনিষেধ আরোপ করার পরের দিনই আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে যায় অনেকটা। নতুন বছরের এই উৎসবের মরশুমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কেজরিওয়াল প্রশাসনের।
যদিও দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও কলেজ। সিনেমা হল থেকে থিয়েটার হল সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ জিম ও স্পা। অন্যদিকে দোকান ও শপিংমল জোড় বিজোড় ভিত্তিতে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মেট্রোসহ যেকোনও পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারে বলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু।
বিশেষজ্ঞদের কথায় ওমিক্রনের প্রভাবেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে কোভিড ১৯ এর নতুন রূপ ওমিক্রন ডেল্টার তুলনায় কমপক্ষে কংপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। মঙ্গলবার তেমনই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। পাশাপাশি এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে তিনি সতর্কও করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে রাজ্যে সরকারকে সক্রিয় থাকতে হবে। সমস্ত প্রবণতা ও বৃদ্ধি বিশ্লেষণ করতে বলেছে। ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণ যোগ্য। তাই স্থানীয় ও জেলা স্তরে আরও বেশি দূরদর্শীতা, তথ্য বিশ্লেষণ গতিশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। এটির কঠোর ও তাতক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন বলেও রাজ্যসরকারগুলিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে ভারতের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ২১টি রাজ্যে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। পর্যন্ত ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০র বেশি।