ভূত বা অশরীরি এই বিষয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ সেই বহু যুগ থেকে। ছোটবেলায় অঝোরে বৃষ্টির মাঝে কচিকাচার দল সকলে মিলে গুটিসুটি মেরে বসত ঠাকুমা-দিদিমার কাছে ভূতের গল্প শুনতে। সেই স্মৃতি আজও অমলিন অনেকের মনের মণিকোঠায়। এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূতের ভিডিও মানুষের মন কেড়ে নেয় মুহুর্তের মধ্যে। এমনই এই ভূতের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, যাকে নিয়ে এখন জোড় চর্চা চলছে নেটিজেনদের মধ্যে।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের অন্ধাকারে জন-মানবহীন পার্কে ভূতের উৎপাত।পার্কে রাখা জিমের একটা সুইং কোনো মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই ঘুরে চলেছে নাগাড়ে। কেউ বসে না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সুইংটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘুরে চলেছে, তা নিয়েই দানা বাঁঝতে থাকে রহস্য। এনেকেই এরমধ্যে খুঁজে পান অশরীরির কারসাজি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও আতঙ্ক ছড়ানোর পরেই আসরে নামতে হয় পুলিশকে। তদন্ত করে প্রশাসনের অবশ্য দাবি, জিম পাগল ভূতের কোনও অস্বিত্ব নেই, বরং গোটাটাই ভুয়ো।
প্রথমে ভিডিওটি দিল্লির রোহিনীর জাপানিজ পার্কের বলে অনেকে দাবি করলেও পরে জানা যায়, ঝাঁসির কাশিরাম পার্কের রয়েছেন সেই জিম পাগল ভূত। এরপর কালবিলম্ব না করেই রাতের অন্ধকারেই ওই ভূতের অনুসন্ধানে বেরিয়ে পড়ে ঝাঁসি পুলিশ। জানা যায়স পার্কে যে ব্যায়ামের যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছিল তা একটু তেল-কালি দিয়ে একাবার নাড়িয়ে দিলেই স্বাভাবিকের থেকে বেশি সময় ধরে নড়ছে। ভূতের রহস্য ভেদ করে পুলিশ দাবি করে, সুইংয়ে অতিরিক্ত গ্রিস দেওয়া ছিল। সেই কারণেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘুরে চলছিল সেটি।
আরও পড়ুন: ৯৭ বছরের বৃদ্ধের কাছে এবার পরাস্ত করোনা, ১৮ দিন ভেন্টিলেশনে থেকে বাড়ি ফিরল ৪ মাসের খুদেও
এরপরেই ট্যুইটারে ঝাঁসি পুলিশের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করে গুজবে কান না দিতে আবেদন করা হয়।
এই ভিডিও ভাইরাল করার ক্ষেত্রে কারা জড়িত রয়েছে তার তদন্তও শুরু করেছে ঝাঁসি পুলিশ।