কঠিন সমীকরণ ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে, ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, আর দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল

হেমন্ত সোরেনও ঘাঁটগেড়ে রয়েছেন ছত্তিশগড়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসকজোটের  বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল রমেশ বইসের সঙ্গে। সূত্রের খবর নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবটি দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

Saborni Mitra | Published : Sep 2, 2022 9:33 AM IST

ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত। সরকার বাঁচাতে এই রাজ্যেই চালু হয়ে গেছে রিসর্ট রাজনীতি। কয়েক দিন আগেই রাজ্যের জোট সরকারের বিধায়কদের বাসে তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রতিবেশী কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড়। সূত্রের খবর এখন নাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনমুক্তি মোর্চের নেতা হেমন্ত সোরেনও ঘাঁটগেড়ে রয়েছেন ছত্তিশগড়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসকজোটের  বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেছিলেন রাজ্যপাল রমেশ বইসের সঙ্গে। সূত্রের খবর নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবটি দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তারপরই শুক্রবার আচমকাই রাজ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিল্লি চলে যান রাজ্যপাল। সূত্রের খবর রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোট সদস্যদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। 

খনি দুর্নীতিকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি গতকালই করেছিলেন জোট সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিজেপিও একই জিনিস চায়। সূত্রের খবর বিজেপির দাবি হেমন্ত সোরেন লাভজনক পদে থেকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন করেছে। রাজ্যপাল পাল্টা এই বিষয়ে বিস্তারিত ও সঠিক তথ্য জানানর জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন। গত ২৫ অগাস্ট নির্বাচন কমিশন তাদের মতামত জানিয়ে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি লেখে। তবে নির্বাচন কমিশম কী লিখেছিল তা এখনও রাজভবন সূত্রে জানান হয়নি। কিন্তু রাজভবনের একটি সূত্রের খবর দাবি নির্বাচন কমিশনয়ও হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজের প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যপাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে।

তবে এখনও পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের কোনও রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়নি। উল্টে ঝাড়খণ্ডডের শাসকদলের দাবি রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে বিজেপিকে বিধায়ক কেনাবেচায় সুবিধে করে দিতেই রাজ্যপাল মুখবন্ধ খামের চিঠি প্রকাশ্যে আনছেন না। অন্যদিকে শাসকদলের বিধায়করা হুমকি দিয়ে বলেছে কোনও রাজ্যে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওযার অর্থ কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তার নজির অবশ্য প্রশাসনের সামনে আছে। তাই এজাতীয় ঘোষণার আগে অনেকটাই সময় নিচ্ছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আগামী মঙ্গলাবর অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা দেবেন হেমন্ত সোরেন। 

বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেন সরকার ফেলতে বন্ধ পরিকর শীর্ষ নেতৃত্ব। এই রাজ্যেও শুরু হয়ে গেছে অপারেশন লোটাস। যা নিয়ে কংগ্রেস ও বাম-সহ বাকি অবিজেপি রাজনৈতিত দলগুলি সরব হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানান হয়নি বিজেপির পক্ষ থেকে। 

তিস্তা সেলতাবাদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা গুজরাট সরকারের, বলল এটি জামিন অযোগ্য অপরাধ নয়

কাপড়ের দোকানে ঢুকে নির্বিচারে গুলি, পাঁচ জন মিলে খুন করল বিজেপি নেতাকে

ঝাড়খণ্ডে কি শুরু হল 'অপারেশন লোটাস'? ব্যাগ গুছিয়ে রাজ্য ছাড়ছে টিম হেমন্ত সেরেন

Share this article
click me!