দেশের ভরসার আরেক নাম আইএনএস বিক্রান্ত, কেরলে অত্যাধুনিক রণতরীর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদীর

রণতরীর উদ্বোধন করে মোদী বলেন ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের দ্বিতীয় এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার পেয়েছে। এই রণতরী দেশের গর্ব। ভারতের আত্মনির্ভরতার পথে অন্যতম মাইলফলক। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডে আইএনএস বিক্রান্তকে জাতির সেবায় উৎসর্গ করেন।

Parna Sengupta | Published : Sep 2, 2022 5:17 AM IST

নৌবাহিনীতে যোগ দিল ভারতের প্রথম বিমানবাহী রণতরী 'আইএনএস বিক্রান্ত'। শুক্রবার তা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশেষ বিষয় হল এই কৃতিত্বের মাধ্যমে ভারত বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে সক্ষম দেশগুলির অভিজাত গোষ্ঠীতে যোগ দিল। বর্তমানে এসব দেশের তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও চিন। শুধু তাই নয়, এটি হবে বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম ক্যারিয়ার। 

এদিন এই রণতরীর উদ্বোধন করে মোদী বলেন ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের দ্বিতীয় এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার পেয়েছে। এই রণতরী দেশের গর্ব। ভারতের আত্মনির্ভরতার পথে অন্যতম মাইলফলক। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডে আইএনএস বিক্রান্তকে জাতির সেবায় উৎসর্গ করেন। মোদী বলেছেন যে গোটা ভারত কেরালার উপকূলে একটি নতুন ভবিষ্যতের সূর্যোদয় প্রত্যক্ষ করছে। আইএনএস বিক্রান্তে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটি বিশ্ব দিগন্তে ভারতের উদীয়মান আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।

মোদী বলেন এটি শুধুমাত্র প্রথম দেশীয় বিমানবাহী রণতরী নয়, এটি সমুদ্রের উপর একটি ভাসমান দুর্গ। আইএনএস বিক্রান্তের ডিজাইন এবং নির্মাণ, সবকিছুই ভারতে করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি নতুন নৌবাহিনীর চিহ্নও উদ্বোধন করেন, যা ব্রিটিশ রাজের প্রভাব থেকে অনেক আলাদা। এর উপরের বামদিকে জাতীয় পতাকা, ডানদিকে অশোক স্তম্ভ এবং নীচে নোঙ্গর রয়েছে।

আইএনএস বিক্রান্তের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে মোদী বলেছিলেন যে এটি শুধু একটি যুদ্ধজাহাজ নয়, বরং এটিকে ভাসমান বিমানঘাঁটি বললে বেশি নিখুঁত হবে। এটি একটি ভাসমান শহর। এটি যে পরিমাণ বিদ্যুত তৈরি করে তা পাঁচ হাজার বাড়িতে আলো দিতে পারে। এর ফ্লাইং ডেক দুটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। এতে ব্যবহৃত সমস্ত তার কোচিন থেকে কাশী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। 

কোচিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ছত্রপতি বীর শিবাজি মহারাজ এই সমুদ্র শক্তির জোরে এমন নৌবাহিনী তৈরি করেছিলেন, যা শত্রুদের ভয়ে রেখেছিল। ব্রিটিশরা যখন ভারতে এসেছিল, তারা ভারতীয় জাহাজের শক্তি এবং তাদের মাধ্যমে বাণিজ্যের জন্য আতঙ্কিত ছিল। তাই তারা ভারতের সামুদ্রিক শক্তির পিঠ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। তৎকালীন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ভারতীয় জাহাজ ও বণিকদের ওপর কতটা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল ইতিহাস তার সাক্ষী।

নতুন পতাকা পেল ভারতীয় নৌসেনা
ভারতীয় নৌবাহিনীর নতুন পতাকাও উন্মোচন করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ ভারত তার বুক থেকে দাসত্বের চিহ্ন, দাসত্বের বোঝা সরিয়ে নিয়েছে। আজ থেকে নতুন পতাকা পেল ভারতীয় নৌসেনা। এখন পর্যন্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকায় দাসত্বের পরিচয় রয়ে গেছে। তবে আজ থেকে ছত্রপতি শিবাজীর অনুপ্রেরণায় সমুদ্রে ও আকাশে উড়বে নৌবাহিনীর নতুন পতাকা।'

Share this article
click me!