বৃহস্পতিবার মেলার মাঠে সিপিআইএম রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। সেখানেই রাজ্য সম্মেলন নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, 'ব্লক থেকে মহকুমা স্তর পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।'
বাংলায় পিছিয়ে গিয়েছে সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলন। প্রথমে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তা পিছিয়ে গিয়েছিল। আর তারপর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল যে তা মার্চে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে ত্রিপুরায় (Tripura) ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি দলের ২৩ তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী (Jitendra Chaudhury)।
বৃহস্পতিবার মেলার মাঠে সিপিআইএম রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। সেখানেই রাজ্য সম্মেলন নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, 'ব্লক থেকে মহকুমা স্তর পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।' ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার সম্মেলন সম্পূর্ণ হয়েছে। জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে সম্মেলনের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সেইসব এখন শিকেয় উঠেছে। কারণ করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। আর তাতে এখন সিপিআইএমের নেতৃত্বরা বেশ চিন্তিত। তাই রাজ্য সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিপিআইএমের ২৩তম রাজ্য সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে। করোনাভাইরাসের জেরে রাজ্য সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনকী পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়ার জেলা সম্মেলনও।
এছাড়া ওই সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, "ডবল ইঞ্জিনের ইঞ্জিনগুলো জনগণের কাজে আসছে না। কেন্দ্র সরকারের ও রাজ্য সরকারের সোশ্যাল অডিটের মধ্যে কোনও মিল নেই। দিশাহীন ভাবে চলছে ৪৬ মাস বয়সী রাজ্য সরকার।"
বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে দলের রাজ্য কমিটির সভা। সেই সভায় কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। পাশাপাশি আগামী দিনের কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেন তিনি।