বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে রদবদল, অমিতের জায়গায় আনুষ্ঠানিক শপথ নাড্ডার

  • বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে রদবদল
  • অমিত শাহের বদলে সভাপতি জেপি নাড্ডা
  • অমিত শাহ সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চান
  • এতদিন কার্যকরী সভাপতি ছিলেন নাড্ডা

Asianet News Bangla | Published : Jan 20, 2020 4:07 AM IST / Updated: Jan 20 2020, 04:19 PM IST

দলের কার্যকরী  সভাপতির হাতেই এবার দলের সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরে বদলে সোমবার থেকেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদে বসছেন জেপি নাড্ডা। 

গতবছর জুনে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। মন্ত্রিসভার গুরুর্ত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়া অমিতের পক্ষে দলে পরিচালনায় পুরোপুরি সময় দেওয়া সম্ভব ছিল না। তখনই সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বদল আনা প্রয়োজন বলে বুঝতে পারে গেরুয়া শিবির। সেইকারণে জিপ নাড্ডার হাতে দেওয়া হয় কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব। তবে এদিন থেকে শাহের বদলে বিজেপির পূর্ণ সময়ের সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন নাড্ডা। 

দেখুন ভিডিও: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ১৪ এপ্রিলের তাৎপর্য, দেশের প্রথম 'বিজয় দিবস'

গতবছর জুনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীতে চিঠি দিয়েছিলেন অমিত শাহ। অনুরোধ করেছিলেন তাঁর কাঁধ থেকে বিজেপির সভাপতিত্বের দায়িত্ব সরিয়ে নেওয়ার জন্য। শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসবা নিজের দায়িত্ব পালনে আরও বেশি সময় দিতে চাইছিলেন। 

 

 

সোমবার রাজধানীতে বিজেপির সদর দফতরে সাংগঠনিক নির্বাচন রয়েছে। এখানে হাজির থাকবেন গেরুয়া শিবিরের তাবড় তাবড় নেতারা। এখানেই সকলের সামনে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেবেন নাড্ডা। সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ জম্পেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে নয়াদিল্লির বিজেপির সদর দফতরে।  

 

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সভাপতি হিসাবে অমিত শাহের আমলে দল চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছে। শাহের দল পরিচালনা তাই নজির স্থাপণ করেছে। সেই প্রক্রিয়া থেকে দ্রুত সরে যাওয়াটাও নাড্ডার পক্ষে সহজ হবে না। এছাড়া রয়েছে সংঘের সমর্থনের বিষয়টি। তবে নাড্ডার মাথায় সংঘ হাত রয়েছে বলে খবর। তাই আপাতত শাহের  প্রচোলিত ধারা মেনেই দল পরিচালনা করতে হবে জে পি নাড্ডাকে।

আরও পড়ুন: সম্প্রীতির এক অনন্য নজির গড়ল কেরল, মসজিদে বসল দুঃস্থ হিন্দু কন্যার বিয়ের আসর

প্রথম মোদী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন জেপি নাড্ডা। আয়ুষ্মান ভারত, রেইনবো-র মতো প্রকল্প সফলভাবে কার্যকর করেছিলেন তিনি। তবে, মোদীর দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। সংগঠনের হাল ধরার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তখন থেকেই তৈরি করা হচ্ছিল নাড্ডাকে। সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে অমিত শাহ-এর মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত বছরের জানুয়ারিতেই। কিন্তু সামনে লোকসভা নির্বাচন থাকায় সেই সময় তাঁকে আরেক বছর কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। তবে সভাপতির পদ ছাড়লেও অমিত ছায়াতেই যে নাড্ডাকে দল পরিচালনা করতে হবে তা মোটামুটি স্পষ্ট। 

Share this article
click me!