সোমবার কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ ভারতে দ্বিতীয় কোভিড-১৯ তরঙ্গের জন্য দায়ী করা হয়েছিল মোদী সরকারের 'উদাসীনতা, অসংবেদনশীলতা এবং অক্ষমতা'কে। তার একদিন পরই কংগ্রেস পার্টিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে সনিয়া গান্ধীকে চার পাতার একটি কড়া চিঠি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস দল এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রীরা, দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন, দেশে ভ্রান্ত আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন এবং টিকাকরণের নীতি নিয়েও দ্বিচারিতা করেছেন।
জেপি নাড্ডার অভিযোগ, প্রথমে কংগ্রেস নেতারা ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে দেশের জনগণকে দ্বিধায় ফেলেছিলেন। যেখানে ভারতে তৈরি টিকা তাদের জাতীয় গর্বের বিষয় হওয়া উচিত ছিল, সেখানে কংগ্রেস নেতারা তা নিয়ে উপহাস করেছেন এবং মানুষের মনে সন্দেহ তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরাও তাতে সামিল হয়েছিলেন। একশ' বছরে একবার দেখা যায়, এমন এক মহামারির মধ্যে তারা যে দেশের মানুষের মনে ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধা তৈরি করেছিলেন।
নাড্ডা আরও বলেন, গত এপ্রিল মাসেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা টিকাদান প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। অথচ, তা করার পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বলছে, মোদী সরকার টিকাদানের বিষয়ে দায়িত্ব এড়াচ্ছে। কংগ্রেস দল এবং যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি রয়েছে তার মধ্যে কি এত যোগাযোগ ব্যবধান রয়েছে? মোদী সরকারের টিকাদান নীতিকে সমর্থন করে তিনি বলেছেন, প্রথম দুটি পর্যায়ে অগ্রাধিকার গোষ্ঠীগুলিকে ১৬ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলি কি তা করবে, সরাসরি চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। নাড্ডার অভিযোগ, মহামারী মোকাবিলা এবং টিকাদানের রাজনীতিকরণ করছেন রাহুল গান্ধী সহ শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতারা, তাঁদের 'দ্বিচারিতা' এবং 'ক্ষুদ্র মানসিকতা' ইতিহাস মনে রাখবে।
কীরকম দ্বিচারিতা? নাড্ডা উদাহরণ দিয়েছেন, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের রূপায়ণের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। কিন্তু, ছত্তিসগড়ের কংগ্রেস সরকার নতুন বিধানসভা কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
এই চিঠির বিষয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।