
Jyoti Malhotra Youtuber: যতই তদন্ত এগোচ্ছে, ততই যেন রহস্যের জাল খুলছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, হোয়াট্সঅ্যাপেও চলত সাঙ্কেতিক মেসেজ। ভারতের ‘আন্ডারকভার এজেন্ট ঠিক কারা’ কারা রয়েছেন, সেই খোঁজ পেতেই জ্যোতিকে কাজে লাগায় আইএসআই বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
কার্যত, এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, ইতিমধ্যেই জ্যোতির হোয়াট্সঅ্যপ মেসেজও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
সূত্র মারফত জানা গেছে, আলি হাসান নামে আইএসআই-এর এক হ্যান্ডলারের সঙ্গে হোয়াট্সঅ্যাপে চ্যাট করতেন জ্যোতি। কিন্তু সাঙ্কেতিক ভাষায় তাদের মধ্যে কথা হত। কখনও ‘প্রোটোকল’ কিংবা কখনও ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’, এই ধরনের সাঙ্কেতিক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে বলে সূত্রে মারফত জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও আরও একাধিক কিছু সাঙ্কেতিক শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু সেই শব্দগুলির মাধ্যমে ঠিক কী বোঝাতে চাইছিলেন তারা, সেটাই জানার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, সেই আইএসআই হ্যান্ডলার আলি হাসানের সঙ্গে কয়েকটি কথোপকথনও উদ্ধার করা হয়েছে। এবার সেই কথোপকথনেও বেশ কিছু সাঙ্কেতিক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
জ্যোতি কি তাহলে জেনেবুঝেই ভারতের গোয়েন্দাদের বিষয়ে তথ্য দিয়েছিলেন আইএসআইকে? না কি তাঁকে আসলে চরবৃত্তির ফাঁদে ফেলে এই ধরনের কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল? তদন্তকারীরা আপাতত সেই বিষয়টাই জানার চেষ্টা করছেন বলে বলে সূত্রের খবর। এদিকে ইউটিউবার জ্যোতিকে জেরা করছে হরিয়ানা পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অন্যদিকে, হরিয়ানা পুলিশের হাতে এসেছে জ্যোতি মালহোত্রার পার্সোনাল ডায়েরি। এবার সেই ডায়েরির প্রতিটি পাতা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গত ১৬ মে, হরিয়ানার হিসার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে গত দুই সপ্তাহে ঠিক একই অভিযোগে হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে জ্যোতি সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।