ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদ কে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি করলো উত্তরপ্রদেশের কানপুরে।
কানপুরের বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার ইসলাম ও হজরত মহম্মদ কে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্য কানপুরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছে। স্থানীয় মানুষ দের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘু দের সংঘর্ষ শুরু হয়।দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি একটা সময় গড়াল পাথর ছোঁড়াছুঁড়িতে। বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধাসেনা নামাতে হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। এখনও অবধি ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কানপুর পুলিশ। মামলা রুজু করা হয়েছে হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা দিনকয়েক আগে হজরত মহম্মদের বিয়ে নিয়ে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন। শুক্রবার নুপুরের মন্তব্যের প্রতিবাদে কানপুরের প্যারেড মার্কেটে বনধের ডাক দেয় স্থানীয় সংখ্যালঘু সংগঠন। কিন্তু স্থানীয় দোকানদাররা দোকানপাঠ বন্ধ রাখতে রাজি না হওয়ায় দু পক্ষের মধ্যে শুরু হয় লড়াই, হাতাহাতি থেকে পাথর ছোড়াছুড়ি এমন কি দোকানপাট ভাঙচুর চলে, ঘটনার ফলে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় আধা সেনা নামানো হয় ওই এলাকায়।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে শুক্রবারের প্রার্থনা সেরেই এক গোষ্ঠীর প্রায় শ’খানেক লোক প্যারেড মার্কেট এলাকায় আসে বাজার বন্ধ করতে। স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ক্রমে সেটি হাতাহাতিতে পৌঁছয়। শুরু হয় দোকান ভাঙচুর। অভিযোগ, দু’পক্ষের মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়িও হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১২ কোম্পানি PAC জওয়ান নামায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। পুলিশ হাজারের বেশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে মামলা করয়েছে । কানপুরের পুলিশ কমিশনার বিজয় সিং মীনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। চলবে বুলডোজারও"। বিরোধীরা সওয়াল তুলছেন যে এখনো কেন নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না। করার ধর্মীয় ভাবাবেগ কে আঘাত করার অধিকার কারুর নেই বলে দাবি করেন তারা।
আরও পড়ুন- বাংলার হাত ধরে দেশের সবচেয়ে আধুনিকতম মেট্রো কোচ পাচ্ছে পুনে
আরও পড়ুন- সাড়ে চার দিনে পঁচাত্তর কিমি রাস্তা, গিনেস বুকেও উঠতে পারে নাম এই শহরের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইসলাম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পরও বিজেলি নেত্রী নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ সরকার এখনো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ এবং থানে পুলিশ। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এই ঘটনার জন্য যোগী সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব।