বেঙ্গালুরু থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে পুরনো স্বর্ণখনি। এবার সোনা উত্তোলনের জন্য সেখানেই খননকার্য চালাবে কেন্দ্র। ব্রিটিশ আমলের ওই খনি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি টন সোনা উত্তোলনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলের স্বর্ণখনির হদিস। সেখান থেকে সোনা উত্তোলন করার বিশেষ পদক্ষেপও নিচ্ছে সরকার। কি করে মিললো এই নয়া অর্থভান্ডারের হদিশ ? বেঙ্গালুরু থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে পুরনো স্বর্ণখনি। এবার সোনা উত্তোলনের জন্য সেখানেই খননকার্য চালাবে কেন্দ্র। ব্রিটিশ আমলের ওই খনি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি টন সোনা উত্তোলনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে নিলামে কাকে দেওয়া হবে খননের দায়িত্ব সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয় এখনও।
জানা গিয়েছে , কর্নাটকের ওই খনি ২০ বছরেরও বেশি সময়ের জন্য বন্ধ ছিল ।বন্ধ থাকার কারণ স্পষ্ট জানা না গেলেও মনে করা হচ্ছে এখন এখান থেকে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের সোনা মিলতে পারে। ভারতীয় অঙ্কে যা ১৭৩৭৭ কোটি ৩৬ লক্ষ ৯ হাজার ৫০০ টাকা। সোনা উত্তোলন করার জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। সম্ভবত অতীতের পরে থাকা শোনা নিষ্কাশনের জন্যই এমন কর্মকান্ড বলে দাবি সরকারি আধিকারিকদের।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, কেবল সোনা নয়, এর পাশাপাশি প্যালাডিয়ামও উত্তোলন করতে চাইছে কেন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, ”আমাদের লক্ষ্যই হল ওখানে থাকা প্রক্রিয়াজাত আকরিক থেকেও সোনা তুলে এনে যতটা সম্ভব আর্থিক লাভ করা।” তাঁর আরও দাবি, এবার থেকে সরকার প্রতি মাসেই খননের জন্য নিলাম ডাকবে।
কিন্তু এই কাজে একটি বাধাও রয়েছে। কী সেই বাধা? তাঁর কথায়, ”আমাদের একমাত্র বাধা হল বিদেশি সংস্থাগুলিরই কাছে একমাত্র এই ধরনের সোনা উত্তোলনের প্রযুক্তি আছে। তবে বিদেশি সংস্থাগুলি স্থানীয় সংস্থাদের সঙ্গে জোট বেঁধে এই কাজ করতেই পারে।” তবে এই প্রসঙ্গে সরকারি ভাবে খনি মন্ত্রক কোনও মন্তব্য করেনি।