সোমবার হাসপাতাল থেকে শেষযাত্রা শুরু হয় হর্ষের। তাঁর শেষযাত্রায় পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক জায়গায় তাণ্ডব চালান হয় ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কিছু গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
বজরং দলের (Bajrang Dal) সদস্যের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ বিক্ষোভো উত্তাল কর্নাটকের শিবমোগা (Karnataka, Shivmooga)। বরিবার রাতে এক দল দুষ্কৃতীর হর্ষ (Harsh) নামে ওই ব্যক্তির ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ঘটনার রেশ রয়েগেছে সোমবারও। এদিন সকালেই হর্ষের মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেগান হাসপাতালে জড়ো হয় হিন্দু ধর্মের প্রচুর মানুষ। তাঁরা হিন্দুদের স্লোগান দিতে থাকে। হর্ষের শেষযাত্র ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
সোমবার হাসপাতাল থেকে শেষযাত্রা শুরু হয় হর্ষের। তাঁর শেষযাত্রায় পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক জায়গায় তাণ্ডব চালান হয় ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কিছু গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া। পাশের জেলা থেকে নিয়ে আসা হয় অতিরিক্ত পুলিশও। নিরাপত্তার ঘোরাটোপে হর্ষের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে।
২৬ বছরের হর্ষ একজন দর্জি ছিলেন। হিজাব বিরোধী পোস্ট করার জন্য় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেইকারণেই তাঁকে হত্যা করা হয় বলেও অভিযোগ। তিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ ভারতী কলোনীতে চার-পাঁচ জনের একদল দুষ্কৃতী হর্ষকে খুন করে বলে অভিযোগ। প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের একটি দল হর্ষের ওপর চড়াও হয়। তারপর তাকে ব্যাপক মাপরধর করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে পরিচিত শিবমোগায়।
কর্নাটকের বাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিবমোগা। এই এলাকায় অত্যান্ত স্পর্শকাতর। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে। শহরে প্রায় ২৪টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনা ৩০-৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর। আর এই শহর আশ্চার্যজনকভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি ও কংগ্রেসের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচত।
এই এলাকার স্থানীয় বিধায়ক ও কর্নাটক বিধানসভার মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেস নেতা ডি শিবকুমারকেই দায়ি করেছেন। যদিও তিনি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পাল্টা কংগ্রসের পক্ষ থেকে রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে না পারার জন্য বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যে যাতে শান্তি বজায় থাকে তার জন্য নাগরিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকাতেও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কেমন আছেন রানী, কোভিড আক্রান্ত এলিজাবেথের আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান চিত্রার 'হিমালয়ের বাবা' কে, খুলছে রহস্যের জট
ইউক্রেনের ছোঁড়া শেলে বিধ্বস্ত রাশিয়ার সীমান্তের রণসজ্জা, বলল মস্কো