সোমবার ফের রণক্ষেত্র রূপ নেয় কাশ্মীর উপত্যকা। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে আহত হন এক কাশ্মীরি পণ্ডিত। পাশাপাশি জখম দুই পরিযায়ী শ্রমিক ও।
স্বাধীনতার ৭৫ তম অমৃত মহোৎসব (Azadi Ka Amrit Mahotsav) পালন করছে দেশ, এদিকে কাশ্মীরের উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের অত্যাচার থেকে এখন ও রেহাই মেলে নি ভারতের। বারবার নানানভাবে সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন কাশ্মীরের মানুষ। আজ থেকে প্রায় ৩২ বছর আগে অসংখ্য কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের সঙ্গে জড়িত ইতিহাসটা আজ কম বেশি প্রায় সকলেরই জানা। তবে বছর ঘুরলে ও সেখানে এখন ও যে সুরক্ষিত নন কাশ্মীরি হিন্দুরা (Kahmiri Hindus) সেই প্রমাণ আবার ও মিললো সোমবার। এদিন শোপিয়ানে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গুলি করে সন্ত্রাসীবাদীরা।
সোমবার রাত ৮ টা নাগাদ দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার ছোটগাম এলাকায় দুই মোটরসাইকেল চালিত সন্ত্রাসবাদী এসে এক কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmiri Pandit) দোকানদারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সোনু কুমার নামে আহত সেই ব্যক্তিকে দ্রুত শ্রীনগরের একটি সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বর্তমানে তিনবি বিপদমুক্ত এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর থেকে জানা গেছে যে, হামলার সময় সোনু কুমার তার ওষুধের দোকানে বসে ছিলেন।
আরও পড়ুন- BBMP-এর জন্য ১০৪৮০ কোটি বাজেট, সম্পত্তি কর আদায়ে জোর
আরও পড়ুন- মাত্র ১১ বছরে বিয়ে, বছরের পর বছর যৌন নির্যাতন - কীভাবে 'দস্যু রানী' হয়েছিলেন ফুলন দেবী
আরও পড়ুন- যোগীর মন্দিরেই হামলা - আইআইটি গ্র্যাজুয়েটের হাতে ধারালো অস্ত্র, আহত ২ পুলিশ
সোনু কুমার তার পরিবারসহ বিগত কয়েক বছর ধরে ওই এলাকায় ওষুদের দোকান চালাচ্ছিলেন। তবে জম্মু কাশ্মীরের এক ধাক্কায় বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাস চালিয়েছে জঙ্গিরা। সূত্রের খবর পুলওয়ামায় ২ জন পরিযায়ী শ্রমিক এবং ২ জন সিআরপিএফ জওয়ান-সহ মোট ৪ জন এই জঙ্গি হামলায় (Terror Attack) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার বিকেলে পুলওয়ামার লাজুরা এলাকায় দুই পরিযায়ী শ্রমিককে সন্ত্রাসীবাদীরারা গুলি করেছেন। আহত অবস্থায় তাদের দুজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, বর্তমানে তাদের অবস্থাও স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। এই আহত ব্যক্তিদের একজনের নাম পাটলেশ্বর কুমার এবং অপরজনের নাম জাকো চৌধুরী, এরা দুজনেই হলেন বিহারের বাসিন্দা।
এছাড়া এদিন শ্রীনগরে সিআরপিএফ জওয়ানদের (CRPF Jawan) উপর আর একটি হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। যার ফলে দুজন জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, এইচসি বিশাল কুমারগুলির আঘাতে শহিদ হয়েছেন। বর্তমানে শ্রীনগরের যে এলাকাটিতে হামলা হয়েছে সেটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এই ঘটনার জন্য একটি মামলা দায়ের ও করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ। টুইটে তিনি লিখেছেন, আমি আমার সহকর্মীদের প্রতি নিন্দা প্রকাশ করছি এবং কর্তব্যরত নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত জওয়ানের জন্য প্রার্থনা করছি, আশা করি তিনি শীঘ্রই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন।'