সংক্ষিপ্ত
- ফের কাশ্মীরে জঙ্গি হমলার ঘটনা
- অনন্তনাগে কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুন
- ১৯৯০ দশকে উপত্যকা ছেড়ে চলে যায় পরিবার
- ফিরে এসে গ্রামের সরপঞ্চ হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি
গত এপ্রিল থেকে কাশ্মীরে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা। এবার সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হতে হল এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবাদীরা নৃশংস ভাবে খুন করল লারকিপোরার লুকবাওয়ান গ্রামের সরপঞ্চকে।
সোমবার সন্ধ্যায় এই জঙ্গি হামলা চালান হয়। সেই সময় নিজের ফলের বাগানে ছিলেন অজয় পণ্ডিতিয়া ওরফে ভারতী নামে ওই সরপঞ্চ। ৪০ বছরের অজয় ভারতী কংগ্রেসের তরফে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে ছিলেন। জঙ্গিরা বাগানে ঢুকে অতর্কিতে গুলি করে তাঁকে খুন করে। তাঁকে বাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শোকপ্রকাশ করেছেন ওমর আবদুল্লাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে উপত্যকা ছেড়ে চলে যায় পণ্ডিতিয়া পরিবার । গত দুই বছর আগেই আবার ফিরে আসেন অজয়। তারপর পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ান এবং জিতেও যান। কিন্তু বেশিদিন আর পঞ্চায়েত প্রধান থাকা হলোনা তাঁর। সন্ত্রাসের কবলে পড়ে মৃত্যু হল এই কাশ্মিরী পণ্ডিতের।
আরও পড়ুন: গত ৯ দিনে নেই কোনও মৃত্যুর খবর, এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি করোনা লড়াইয়ে পথ দেখাচ্ছে দেশকে
লস্করের এক শাখা সংগঠন দ্য রেসিসটেন্স ফোর্স এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। ভারতীয় সরকারের অনুগত থাকার জন্যই তাঁকে হত্যা করা হল বলে জানিয়েছে ফোর্স। পাশাপাশি এই সংগঠন হুমকি দিয়েছে, এরকম আরও যারা আছেন, তাদেরকেও ছাড়া হবে না।
অজয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর জম্মুর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, 'তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পরাস্ত করতে দুষ্কৃতীরা মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।' তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই তৃণমূল স্তরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেন।
আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক সংক্রমণে ফের রেকর্ড, এবার করোনার উৎসস্থল উহানকে একাই ছুঁয়ে ফেলতে চলল মুম্বই
এদিকে কাশ্মিরী পণ্ডিত অজয়ের খুনিকে ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ ও সেনা। ইতিমধ্যেই উপত্যকায় আলাদা আলাদা দল নামানো হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীরের অভিযোগ, অজয়ের কাছে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হচ্ছে, জীবনের ঝুঁকি আছে আশঙ্কা করে অজয় সরকারের কাছে নিরাপত্তার আর্জি জানালেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ।